Fact About NSI

NSI সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

NSI-National Security Intelligence
কথায় আছে বাঘে ছুলে ১৮ ঘা এবং এন এস আই ছুলে 36 ঘা। যুগ যুগ ধরে এই বেসামরিক সংস্থাটি বাংলাদেশের প্রাইম গোয়েন্দা সংস্থা। দেশের প্রতিটি জেলায় প্রতিটি থানায় রয়েছে অফিস এবং কি তাদের হেডকোয়ার্টার টি ও পুরোপুরি আন্ডার কভার। এনএসআই বাংলাদেশের সর্বশক্তিমান গোয়েন্দা সংস্থা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেশের জুডিশিয়াল সিস্টেমকেও ও আবার রুল করতে পারে। সব ধরনের চাকরিতেই কিছু কিছু ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এনএসআই এর ক্ষমতা সম্পূর্ণটাই অন্য লেভেলের। এনএসআই এর ক্ষমতা সম্পর্কে কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করা হলো।-Fact About NSI

১. দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষা, বৈদেশিক সরকার, কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন ধরনের সংস্থা, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন রকম ধর্মীয় দল, সরকারি চাকরিজীবী, জঙ্গি সংগঠন এবং কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এর তথ্য সংগ্রহ করা।

২. যুদ্ধে কৌশল অবলম্বন করতে সামরিক বাহিনীকে পরামর্শ প্রদান করা।

২. দেশের বাইরে হুমকির বিষয়গুলো লক্ষ্য করে দেশের অভ্যন্তরের তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করা।

৩. দেশের বিপক্ষে যে কোন ধরনের ষড়যন্ত্রের তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে তা প্রয়োজন অনুসারে সরকারকে জানানো।

৪. মাননীয় রাষ্ট্রপতির বিশেষ অনুরোধে অফিসারদের মধ্য থেকে বাছাই করে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনীর সাথে clandestine operation পরিচালনা করা।

৬. জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন।

৭. সীমান্ত এলাকার কৌশলগত নিরাপত্তা কার্যক্রম গ্রহণ।

হয়তো আমার আপনার পাশেই এমন অসংখ্য এন এস আই এর সদস্য রয়েছে হয়তো আমি আর আপনি কিছুই টের পাচ্ছি না। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ ধরনের সংস্থা গুলোর মধ্যে রয়েছে এফবিআই যেটি রয়েছে আমেরিকাতে। সিবিআই যেটি রয়েছে ইন্ডিয়াতে। মজার ব্যাপার হলো এই দুটো সংস্থার চাইতে আমাদের এন এস আই আরো অনেক বেশি নিভৃতে চলাফেরা করেছে। এবং অনেক বেশি রহস্য উদঘাটন করেছে।

ট্রেনিং এর বিষয়টি পুরোপুরি গোপনীয়। যতটুকু জানা গেছে দেশে ও দেশের বাইরে এই ট্রেনিং হয়ে থাকে। তবে আর্মি নেভি এয়ার ডিজিএফআই এর সাথে ঘনিষ্ঠ ট্রেনিং হয় তাদের ফ্যাসিলিটি তে। এই সংস্থা ট্রেনিং অনেক কঠিন একবারে ফায়ার সার্ভিস থেকে শুরু করে মেডিকেল কলেজ হয়ে সেখানে যাওয়া যায় প্রয়োজন মত উন্নয়ন চলতে থাকে যার কারণে এনএসআই এর সদস্য অনেক চৌকস হয়। এ

নএসআই এর কাজের ক্ষেত্র মূলত বাংলাদেশ। বর্তমানে অ্যাক্টিভিটি ও অথরিটির দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে এই সংস্থাটি। প্রথম অবস্থানে রয়েছে ডিজিএফআই। এনএসআই আগ্নেয়াস্ত্র বাহিনী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এদের কাজ মূলত মাঠ থেকে তথ্য কালেক্ট করা। তবে বিশেষ কোনো মিশন থাকলে অস্ত্র দেয়া হয়। কিন্তু কি টাইপের অস্ত্র দেয়া হয় সেটি সম্পূর্ণ অজানা। এনএসআই সরাসরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। বিধায় অন্য কোন সরকারি সংস্থা এই সংস্থার কার্যক্রমে কোনো রকম বাধা সৃষ্টি করতে পারে না।

স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এই সংস্থার কার্যক্রম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং এর মাধ্যমে সরকার বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক দিক নির্দেশনা পাওয়ায় সরকারের সাফল্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এনএসআই যেহেতু সম্পূর্ণটাই একটি গোয়েন্দা সংস্থা তাই বেশি কিছু জানা যায় না এই এনএসআই সম্পর্কে। অনলাইন মাধ্যম হতে সংগৃহীত তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।

আরো দেখুনঃ 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top