দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। এটি করিয়া উপদ্বীপের দক্ষিণ অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এর সরকারি নাম করিও প্রজাতন্ত্র। দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তরে উত্তর কোরিয়া। পূর্বে জাপান সাগর দক্ষিণে ও দক্ষিণ পূর্বে করিয়া প্রণালী। যা জাপান থেকে দেশটিকে পৃথক করেছে। এবং পশ্চিমে পিচ সাগর। দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম শহর এবং রাজধানীর নাম হচ্ছে শিউল। দক্ষিণ কোরিয়ার আয়তন ১ লক্ষ ৩৬৩ কিলোমিটার। বা ৩৮ হাজার ৭৫০ বর্গ কিলোমিটার।- Facts About South Korea
আয়তনের দিক থেকে এটি পৃথিবীর ১০ তম দেশ। এই আয়তনের দেশটিতে জনসংখ্যা ৫১.৭১ মিলিয়ন। জনসংখ্যার দিক থেকে এটি পৃথিবীর 28 তম দেশ। দেশটিতে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৫০৭ জন মানুষ বাস করে। দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক অগ্রগতির পিছনে যেসব কারণ রয়েছে সেগুলি হচ্ছে মানুষের কঠোর পরিশ্রম দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা কাজের প্রতি একাগ্রতা এসব কারণে দেশটির গত ৫০ বছরে উন্নয়নশীল দেশ হতে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশের পরিচিতি পেয়েছে।
কিন্তু আপনারা এটা জেনে আশ্চর্য হয়ে যাবেন যে বিয়ে না করা এবং সন্তান না নেয়ার প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।এমনকি পুরুষদের সাথে সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রেও এখানকার নারীদের অনীহা রয়েছে।পৃথিবীর সবচেয়ে কম জন্মহার যেসব দেশে তার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া অন্যতম।বর্তমান অবস্থার কোন পরিবর্তন না হলে দেশটিতে জনসংখ্যা কমার দিক দিয়ে দিন দিন এগিয়ে যাবে।এর মূল কারণ দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ মনে করে সন্তান নিতে গেলে তারা কাজ কর্মে পিছিয়ে যাবে।এবং অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়বে।
কোরিয়ান না অনেক কিছুই ভয় পায় না।তবে যদি আপনি একজন কোরিয়ান কে বদ্ধ ঘরে রাখেন তাদেরকে ঘুমাতে দেন এবং একটি ফ্যান চালু করে দেন তবে আপনি দেখতে পাবেন কিছুক্ষণ পরে সে সেখানে থাকবে না।একটি বিস্তৃত বিশ্বাস রয়েছে যে বদ্ধ ঘরে পাখা আপনাকে হত্যা করতে পারে।এই বিশ্বাসের কারণে কখনো কোন কোরিয়ান একলা ঘরে ফ্যান চালায় না।তাছাড়া মজার ব্যাপার আপনি এবং কোন কোরিয়ান যদি একই বছরে যন্মগ্রহণ করেন তবুও কোরিয়ান রা আপনার চেয়ে এক বছরের বড় হয়ে যাবে।
এর মূল কারণ তাদের ধারণা অনুযায়ী জন্মের সময় মাতেরিগর্ভ এ এক বছর থাকা হয় সেটিও তাদের বয়সের অন্তর্ভুক্ত এবং ভূমিষ্ট হলে তাদের বয়স হয় ২ বছর। তাছাড়া আশ্চর্যের ব্যাপার এই কোরিয়ান রা চেহারায় মাতাল।আপনি জোখন দেখবেন তখন খেয়াল করবেন লোকেরা তাদের চেহারা অনেক যত্ন করে। এছাড়া কোরিয়ায় প্রতি ৫ জনের ভেতরে একজন প্লাস্টিক সার্জারি করা। যাতে তাদের চেহারা কে একটু সৌন্দর্যময় করতে পারেন। কোরিয়ান রা লাল কালি ঘৃণা করে ঘৃণা করে। তারা বিশ্বাস করে যে এই রংয়ের লেখা নাম টি তার মালিক কে দুর্ভাগ্য এমনকি মৃত্যুর মুখে এনে দিতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সমাজে এরকম একটি অস্বাভাবিক ঘটনা প্রাচীন একটি ইতিহাসের সাথে জড়িত। পূর্বে মৃত ব্যক্তির নাম সমাধিক্ষেত্রে লাল কালি দিয়ে লিখা হতো। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তারা লাল কালি দিয়ে কখনো নিজের নাম লেখে না। কোরিয়ানরা বিশ্বাস করে মানুষ মারা গেলে তাদের আত্মা তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরকে ছেড়ে চলে যায় না। তবে তারা আরো চার প্রজন্ম বংশধরের সাথে থেকে যায়। অর্থাৎ মৃত ব্যক্তিকে তারা পরিবারের সদস্য হিসেবে বিবেচনা করে।
এবং নতুন বছরে মৃত্যুবার্ষিকী এমনকি কোন অনুষ্ঠানে তারা সেই মৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে আশীর্বাদ চায়। তারা মনে করে আশীর্বাদ না করলে তারা সুখী হতে পারবে না। এই উদ্দেশ্যে একটি কক্ষে তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার রাখা হয়। এবং সেখানে গিয়ে তাদের কাছ থেকে আশীর্বাদ প্রার্থনা করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়া বাসিন্দাদের মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে তারা বিশেষ যত্নবান।
ডেন্টিস্ট পরিষেবা দক্ষিণ কোরিয়ায় খুবই ব্যয়বহুল। প্রতিটি খাবার গ্রহণ করার পর দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ দাঁত ব্রাশ করতে অভ্যস্ত। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া মানুষ সবসময় ব্রাশ নিয়ে ঘুরে বেড়াতে অভ্যস্ত। এদেশের মানুষ খাবারকে অনেক সম্মান করে। এবং খেতেও অনেক ভালোবাসে। দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা কে বলা হয় ঔন সংক্ষেপে কে আর ডাব্লিউ। দক্ষিণ কোরিয়ার কলিং কোড +৮২…
আরো দেখুনঃ
- গাধা সম্পর্কে অজানা তথ্য, ৬০ মাইল দূরেও যোগাযোগ করতে পারে
- দুবাই সম্পর্কে অজানা তথ্য -অর্ধেক নাগরিকই ভারতীয়
- ঘোড়া সম্পর্কে বিস্ময়কর ও অজানা তথ্য
- মাছি সম্পর্কে অজানা তথ্য
- সূর্য সম্পর্কে অজানা তথ্য
- বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অজানা তথ্য -বিস্তারিত ইতিহাস
- মাকড়সা সম্পর্কে অজানা তথ্য
- সিংহ সম্পর্কে অজানা তথ্য
- বডি স্প্রে আতর এবং পারফিউমের মধ্যে পার্থক্য
- হাতি সম্পর্কে অজানা তথ্য -জেনে রাখুন এখনি
- বাদুর সম্পর্কে অজানা তথ্য -ঘন্টায় প্রায় ৬০০ পোকা খেতে পারে