Facts About Spider

মাকড়সা সম্পর্কে অজানা তথ্য -পবিত্র কোরআনে রয়েছে এর সম্পর্কে তথ্য

মাকড়সা একটি ক্ষুদ্র প্রাণী। তবে আকারের ক্ষুদ্র হলেও পবিত্র কুরআনুল কারীমে এর উল্লেখ আছে, রয়েছে বিস্ময়কর কিছু তথ্য। শুধু তাই নয় কুরআনে পূর্ণাঙ্গ একটি সূরায় নাযিল করেছেন আল্লাহ তা’আলা। সুরার নাম হচ্ছে আনকাবুত। আনকাবুত মানে মাকড়সা। আজকের পোস্টে আলোচনা করা হবে মাকড়সা সম্পর্কে বিস্ময়কর বিভিন্ন তথ্য। –Facts About Spider

পবিত্র কোরআন এ মাকড়সা সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
“যারা আমার পরিবর্তে অপরকে সাহায্যকারী রূপে গ্রহণ করে তাদের উদাহরণ মাকড়সা। সে ঘর বানায়, আর সব ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘর ই তো অধিক দুর্বল, যদি তারা জানত।” (সুরেয়া আনকাবুত, আয়াত ৪১)।

পবিত্র কুরআনে এই সূরার নামকরণের মাধ্যমে মাকড়সার জীবনযাত্রার একটি প্রচ্ছন্ন পরিচয় দেয়া হয়েছে। মাকড়সা রা দলবদ্ধ বা সামাজিক জীবন যাপন করে না। প্রত্যেক মাকড়সার আলাদা ভাবে জীবন যাপন করেন।

সৃষ্টির এক ভিন্ন বৈচিত্র্য এই মাকড়সা। অষ্টপদী এই পোকাটির দেহ সৌষ্ঠব পোকার জগতে এক ভিন্নতা এনেছে। প্রকৃতির এই বৈচিত্রময় সৃষ্টি ভাবকরা সত্যিকারে বিপাকে পড়ে আছেন। মাকড়সার দেহটি দুই খন্ডে বিভক্ত।

প্রায় সকল প্রজাতিতেই স্ত্রী মাকড়সা জাল বোনে। কিছু কিছু প্রজাতিতে দেখা যায় পুরুষ সংগীও জাল বনে ছোট করে এবং স্ত্রী মাকড়সার জালের কাছে সেটি যুক্ত করে। মাকড়সার প্রায় ৪৩ হাজার প্রজাতি রয়েছে। এদের মধ্যেই রয়েছে আকৃতি প্রকৃতি এবং জীবন যাত্রার নানা প্রভেদ।

মাকড়সার শিকার পদ্ধতি। বহুল প্রচলিত পদ্ধতি হচ্ছে জাল বিস্তার পদ্ধতি। মাকড়সা রা শিকারের জন্য বিভিন্ন উপায়ে জাল তৈরি করে। যেখানে তৃণলতা বা সবজি বাগানে বিভিন্ন পোকা আহার করে। সেখানে মাকড়সা খুবই মনোযোগ সহকারে জাল বনে যাতে সে সব প্রকাশ সহজেই ধরা পড়ে। পরে শিকারি মাকড়সা সেই আটকে পড়া পোকা দের আহার করে।

এদের দৃষ্টি ক্ষমতা অত্যন্ত প্রখর গঙ্গা ফড়িং এর প্রায় ১০ গুণ। মানুষের দৃষ্টি শক্তি এই মাকড়সার চেয়ে মাত্র পাঁচ গুণ বেশি। অর্থাৎ পোকার জগতে এদের দৃষ্টি শক্তি সবচেয়ে বেশি। অধিকাংশ মাকড়সার তীক্ষ্ণ বিষ দাত থাকে। দাঁত গুলো থাকে ফাঁপা এবং তারা এই দাঁতগুলোকে ইনজেকশন এর শুইয়ের মত ব্যবহার করে। শিকার অথবা শত্রুর গায়ে এই দাঁতের মাধ্যমে বিষাক্ত তরল ঢুকিয়ে দেয়। প্রায় সকল মাকড়সার শিকার করে খাদ্য আহরণ করে। তারা স্বজাতিসহ বিভিন্ন পোকা স্বীকার করে খায়।

সামনের অংশ কে সেফালোথোরাক্স (Cephalothorax) এবং পেছনের অংশ কে এবডোমেইন (Abdomen) বলে। অন্যান্য পোকাদের মত মাকড়সার এন্টেনা থাকে না। উন্নত প্রজাতির মাকড়সার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থাকে। অন্যান্য অর্থপোড প্রাণের মতো মাকড়সার মুখমণ্ডলে বাড়তি মাংস পেশী থাকে না। প্রয়োজনে হাইড্রোলিক চাপে তা ছোট বড় হয়। সবচেয়ে ছোট আকৃতির একটি পূর্ণাঙ্গ মাকড়সার দৈর্ঘ্য ৪ মিলিমিটার এর কমও হতে পারে। একটি বড় মাকড়সা লম্বায় ১০ সেমি পর্যন্ত হতে পারে। একটা বড় আকৃতির মাকড়সার ওজন ১৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তারা সাধারণত তাদের নিজের দেহাকৃতির চেয়ে বড় কোন প্রাণীকে স্বীকার করতে পারে না। তবে তাদের চেয়ে বেশি ক্ষুদ্র প্রাণীকেও শিকার করতে পারে না। মাকড়সা ভিন্ন প্রজাতির মাকড়সা কে যেমন খেয়ে ফেলে তেমন স্বজাতি কেও রেহাই দেয় না। এই কারণে বেশিরভাগ মাকড়শায় একত্রে বসবাস করতে পারে না। প্রত্যেক প্রজাতির নিজস্ব যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। অধিকাংশ প্রজাতির মধ্যেই একটা বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাদের স্ত্রী মাকড়সা মিল*নের পর তার পুরুষ সঙ্গীকে খেয়ে ফেলে।

দক্ষিণ এশিয়ায় একপ্রকার শিকারি মাকড়সার লেজের দৈর্ঘ্য ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। মাকড়সার সাধারণ দৃষ্টি শক্তি কম। অধিকাংশ মাকড়সার দেহের সামনের দিকে চার জোড়া চোখ থাকে। বিভিন্ন গোত্রে এই চোখ গুলো বিভিন্নভাবে সাজানো থাকে। তবে লাফানো মাকড়সার চোখ তিন জোড়া এবং দেখতে অদ্ভুত। মাথার সামনের দিকে গায়ে গায়ে লাগানো একদম বড় মাপের একজোড়া চোখ এবং মুখমণ্ডলের সামনের পাশে থাকে আরেকজোড়া মাঝারি সাইজের। মাথার পিছনের দুই দিকে থাকে আরেক জোড়া।

আরো দেখুনঃ 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top