সাতক্ষীরা আমাদের দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের একটি সিমান্তবর্তী জেলা। এটি খুলনা বিভাগের অন্তর্গত একটি অঞ্চল। আয়তনের দিক থেকে এটি প্রায় ৩,৮৫৮.৩৩ বর্গ কিলোমিটার। সাতক্ষীরার পশ্চিমে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। পূর্বে খুলনা জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং উত্তরে যশোর জেলা। -Facts About Satkhira
মোট ৭ টি উপজেলা এবং ৮ টি থানা নিয়ে সাতক্ষীরা জেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম বিস্তৃত। সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ি এবং সন্দেশ এর জন্য বিখ্যাত। দেশের রপ্তানিকৃত চিংড়ির ৭০ ভাগ এই জেলা থেকে হয়ে থাকে।
এই জেলার ১১ টি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান
- সুন্দরবন
- মায়ী চম্পার দরগা
- তেতুলিয়া জামে মসজিদ
- যীশুর গীর্জা
- মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত
- মায়ের মন্দির
- বনবিবির বটগাছ
- মাল্টা শরীফ
- নলতা রওজা শরীফ মাজার
- গুনাকরকাটি মাজার
- শ্যাম সুন্দর মন্দির
উচ্চতার দিক থেকে বিবেচনা করলে এই অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ট থেকে আনুমানিক ১৬ ফুট উচুতে। জেলার মোট আয়তনের এক তৃতীয়াংশ বনাঞ্চল।
এই জেলায় ৭ টি উপজেলা রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে
- সাতক্ষীরা সদর
- শ্যামনগর
- তালা
- কালীগঞ্জ
- আশাশুনি
- দেবহাটা
- কলারোয়া
এই জেলায় পৌরসভা রয়েছে ২ টি আর সেগুলো হচ্ছে সাতক্ষীরা পৌরসভা এবং কলারোয়া পৌরসভা। এছাড়া এই জেলায় ৮ টি থানা রয়েছে। ৭৮ টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১৪২৩ টি গ্রাম এবং ৪ টি সংসদীয় আসন রয়েছে।
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পশ্চিমে পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন অবস্থিত। বঙ্গোপসাগরের উপকূল এবং ভারতীয় সীমান্তে অবস্থিত সাতক্ষীরা নামক অঞ্চলটি মানব বসতি গড়ে ওঠার আগে ছিলো একটি বিস্তীর্ণ জলাভূমি।
সাতক্ষীরা জেলা নামকরণের ইতিহাস
প্রাচীন কালে এই জেলাকে বাগড়ী, ব্যাঘ্রতট, সমতট, যশোর, চূড়ন প্রভৃতি নামে অভিহিত করা হতো। অবশ্য এই জেলার নামকরণের পেছনে বেশ কয়েকটি মতভেদ রয়েছে। এর মধ্য প্রথম এবং প্রধান মত টি হচ্ছে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের এক কর্মচারী বিষুরাম চক্রবর্তী নিলামে চূড়ন পরগনা ক্রয় করে তার অন্তর্গত সাতঘরিয়া নামক গ্রামে বাড়ি তৈরি করেন।
পরবর্তীতে তার পুত্র প্রাণনাথ সাতঘরিয়া অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন করেন। ১৮৬১ সালে মহকুমা স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পর ইংরেজ শাসকরা তাদের পরিচিত সাতঘরিয়াতেই প্রধান কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন।
ইতিমধ্যেই সাতঘরিয়া ইংরেজ রাজকর্মচারীদের মুখে “সাতক্ষীরা” হয়ে যায়।
২য় মতটি হচ্ছে, একদা সাত মনিষী সাগর ভ্রমণে এসে আকান্ত শখের বসে ক্ষীর রান্না করে খেয়েছিলেন। পরবর্তীতে ক্ষীর এর সাথে “আ” প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ক্ষীরা হয়ে যায়। এভাবেই লোকমুখে প্রচলিত হয়ে যায় সাতক্ষীরা। তবে এসব গল্পকাহিনীতেই প্রযোজ্য। বাস্তবে এসবের কোন ভিত্তি নেই।
সাতক্ষীরা জেলার শিক্ষাব্যাবস্থা
যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে চলছে এই জেলার শিক্ষা ব্যাবস্থা। এই জেলায় ১ টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। কারিগড়ি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ২ টি। ৪৪ টি কলেজ রয়েছে এই জেলাটিতে। ১৩৫ টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৩৩ টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এছাড়া রয়েছে ৩৯০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আরো রয়েছে ৮৫ টি মাদ্রাসা।
আরো দেখুনঃ
- ফেসবুক রিল অপশন বন্ধ করার নিয়ম
- জেফ বেজোস কত টাকার মালিক
- ইলন মাস্ক কত টাকার মালিক
- মহাবিশ্ব সম্পর্কে অজানা তথ্য
- বাঘ সম্পর্কে অজানা তথ্য
- নরওয়ে সম্পর্কে অজানা তথ্য
- পিঁপড়া সম্পর্কে অজানা তথ্য
- ইসরাইল সম্পর্কে অজানা তথ্য
- রাশিয়া সম্পর্কে অজানা তথ্য
- তাজমহল সম্পর্কে অজানা তথ্য -বন্ধ ঘরের রহস্য
- চীনের প্রাচীর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
- কানাডা সম্পর্কে বিষ্ময়কর কিছু তথ্য -সবারই জানা প্রয়োজন
- সিঙ্গাপুর সম্পর্কে বিষ্ময়কর কিছু তথ্য
- যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পার্থক্য !
- সাহাবী গাছ সম্পর্কে অজানা সব তথ্য এবং বিস্তারিত