Facts About fly

মাছি সম্পর্কে অজানা তথ্য- বিস্তারিত দেখুন

বাঙ্গালীদের মধ্যে একটি কথা খুব প্রচলিত আছে ,আর তা হলো রাতে মশা দিনে মাছি এই নিয়ে বেঁচে আছি, হ্যাঁ বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে যে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করব তা হচ্ছে মাছি, মাছি আমাদের অতি পরিচিত একটি প্রাণী,এটি আমাদের চারপাশে সারাক্ষণ পিন পিন করে ঘুরে বেড়ায়, এবং আমাদের বিভক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়,আজ আমরা মাছি সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য জানবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।-Facts About fly

একটি পুরুষ মাছি সর্বক্ষণ নারী সঙ্গী খুঁজে। একটি মাছি মাত্র ত্রিশ দিন বাচে,মাছির চোয়াল দাঁত যুক্ত মনে হলেও মাছি কোন কিছু কামড় দিয়ে খেতে পারে না।তাই মাছি তরল খাবার পান করে বাঁচে।মাছি পা এবং পায়ের তালু দিয়ে খাবারের স্বাদ গ্রহণ করে থাকে, আর তার জন্য মাছের পায়ের তলায় রয়েছে বিশেষ ধরনের স্বাদ গ্রন্থি।খাবার গ্রহণের আগে খাবারের উপর বসে খাবারের স্বাদ পরীক্ষা করে থাকে।

মাছি যখনই কোন কিছুর উপর বসে, তখনই তার উপর মলত্যাগ করে ও বমি করে।আর এজন্যই খাবারে বসা মাছি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। মাছির চোখ একসাথে ৩৬০ ডিগ্রি কোণে, সামনে পেছনে ডানে ও বামে সমান তরাল ভাবে দেখতে পারে, তাই যে কোন দিকের শত্রু আক্রমণ থেকে এরা খুব সহজেই পালিয়ে যেতে পারে। একটি মাছি সাধারণত ৩০ দিন বাঁচে, এবং তারা প্রতিবারে ৭০ থেকে ১০০ টি ডিম পর্যন্ত পাড়ে।

৩০ দিনের জীবনচক্রে একটি নারী মাছি সাধারণত ৪০০ থেকে ৫০০টি ডিম পেড়ে থাকে। হাতের থাপ্পড়ে মাছি মারা অনেক কঠিন, মানুষের মস্তিষ্ক প্রতি সেকেন্ডে আশেপাশে ষাটটি দৃশ্যপট আকে, আর এই একি সময়ে মাছি ২৫০ টি দৃশ্যপট আঁকতে সক্ষ্ম।আর তার জন্যে মাছি খুব সহজেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পুরুষ মাছি সর্বক্ষন নারী সঙ্গী খুজে,পুরুষ মাছির চোখে লাভ স্পট নামে একটি অংশ আছে ,যা দিয়ে তারা বংশবিস্তারের জন্য সর্বক্ষণ নারী সঙ্গী তালাশ করে।

মাছি আমাদের খাবারে বসে আমাদের খাবার কে অস্বাস্থ্যকর করে ফেলে এবং সেই খাবার খেলে আমাদের শরীরে অনেক রকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে , আর এ ব্যাপারে নবীজির একটি হাদিস রয়েছে তা তুলে ধরা হলোঃ

বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা.) আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক করে গেছেন, যা আজ বর্তমান বিজ্ঞান অবলীলায় স্বীকার করে নিচ্ছে। এবং তা তারা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। ওবায়েদ ইবনে হুনায়েন (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বলতে শুনেছি, নবী (সা.) বলেছেন, “তোমাদের কারো পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়লে সেটাকে তাতে ডুবিয়ে দেবে। অতঃপর তাকে উঠিয়ে ফেলবে। কেননা তার এক ডানায় রোগ থাকে আর অন্য ডানায় থাকে রোগের প্রতিষেধক।’’ (বুখারি, হাদিস : ৩৩২০)

এই বিষয়ে মিসরের প্রাণী গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডক্টর মোস্তফা ইব্রাহিম হাসান হাদিসের বাস্তবতা প্রমাণ করার জন্য চার ধরনের মাছির মধ্যে এ নিয়ে জরিপ চালান। সেখানে তিনি দেখতে পান যে মাছির একটি ডানায় অনেক জীবাণু আছে আর অন্য ডানায় সেই জীবাণুনাশক আছে। (আল ইত্তেহাদ, আরাবি, অনলাইন)

প্রিয় পাঠক, এরকম আরো অনেক চমকপ্রদ ও জানা-অজানা তথ্য জানতে আমাদের পেজটি ফলো করুন , এবং আপনারা কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তা আমাদেরকে কমেন্টে লিখে জানান, আমরা আপনাদের কমেন্ট অনুযায়ী পোস্ট দেয়ার চেষ্টা করব।

আরো দেখুনঃ 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top