বাংলাদেশের বর্তমান সিনেমার প্রেক্ষাপটে যিনি সবচেয়ে প্রভাবশালী অভিনেতা যার নামের আগে কিং খান এবং সুপারস্টার কথাটি এসে যায় এবং বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনি একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি হচ্ছেন শাকিব খান। তিনি এখন পর্যন্ত ১৭১টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন।-Shakib Khan Net Worth
শাকিব খান যখন প্রথম সিনেমায় আসেন ১৯৯৯ সালে তখন তিনি অনেক সিনেমাতেই কাজ করেছেন বিনা পারিশ্রমিকে। তবে সেই বছরের শেষের দিকে তিনি ৩০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে সিনেমায় অভিনয় করেন। দুই হাজার সাল থেকে তার পারিশ্রমিক সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে। তার তারকা খেতি বাড়ার সাথে সাথে তার পারিশ্রমিক ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চলে যায়।
শাকিব খান কত টাকার মালিক
এভাবেই তিনি বর্তমানে সিনেমা প্রতি ৬০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। শাকিব খান বিজ্ঞাপনেও নিয়মিত কাজ করেন। বিজ্ঞাপনে কাজ করার জন্য তিনি এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সম্মানী পেয়ে থাকেন। বিভিন্ন স্টেজ শো এবং টেলিভিশন এর শো এর জন্য শাকিব খান ২ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। বর্তমানে শাকিব খানের স্থাবর অস্থাবর সকল সম্পত্তি মিলিয়ে মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৭০ কোটি টাকার মতো।
পেশা | অভিনেতা ও প্রযোজক |
মোট সম্পদ | ৪৭০ কোটি টাকা বা ৪৫ মিলিয়ন ডলার |
মাসিক বেতন | ২০ লক্ষ+ |
বাৎসরিক আয় | ২ কোটি |
বয়স | ৪৩ বছর |
জন্মস্থান | গোপালগঞ্জ |
তিনি বছরে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন বিভিন্ন স্টেজ শো টকশো এবং সিনেমার প্রচারণা থেকে। শাকিব খানের একটি প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে। যার নাম হচ্ছে এস কে ফিল্মস। এখান থেকে তিনি বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা আয় করে থাকেন।
শাকিব খান শুধুই যে একজন অভিনেতা তাই নয় তিনি একই সাথে একজন প্রযোজক ও বটে। তিনি তার এসকে ফিল্মস এর ব্যানারে এখন পর্যন্ত তিনটি সিনেমা রিলিজ করেছেন। যার সব কয়টি ছিল ব্যবসা সফল। তার তার প্রযোজিত সিনেমা পাসওয়ার্ড বিদেশেও মুক্তি পেয়েছে। সেখান থেকেও বাংলাদেশী টাকায় মোট ২ কোটি টাকার মত আয় করেছে এই সিনেমাটি।
সাকিব খানের গাড়ির কালেকশন
শাকিব খান বছরে দেড় কোটি টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৪ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করেছেন। শাকিব খানের কালেকশনে বেশ আকর্ষণীয় মডেলের গাড়ি রয়েছে। তিনি ২০১৪ সাল থেকে প্রতিটি ঈদের সময়ই নতুন গাড়ি কিনে আসছেন। তিনি ক্রাউন ব্র্যান্ডের একটি ক্লাসিক মডেলের গাড়ি অনেকদিন ধরেই ব্যবহার করে আসছেন। এছাড়া ২০১৬ সালে তিনি কিনেছেন একটি সাদা রংয়ের প্রাডো।
২০১৭ সালে ঈদুল আযহার সময় কিনেছেন টয়োটা ব্র্যান্ডের সাদা রংয়ের একটি গাড়ি। ২০১৮ সালে কিনেছেন মার্সিডিজ ব্র্যান্ডের একটি নতুন মডেলের গাড়ি। তার কালেকশনে বর্তমানে পাঁচটি গাড়ি রয়েছে। যেই পাঁচটি গাড়ির মূল্য বর্তমানে প্রায় তিন কোটি 50 লক্ষ টাকার সমান। গাড়ির কালেকশন এর দিক থেকে সাকিব খান এর ধারের কাছে কোন বাংলাদেশী সেলিব্রিটি নেই। শাকিব খান তার বাৎসরিক আয়ের 10 শতাংশ বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার জন্য ব্যয় করেন। তিনি এবং তার মা-বাবা উভয়েই দাতব্য সংস্থার জন্য ব্যাপক কাজ করে থাকেন।
পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।
- তামিম ইকবাল কত টাকার মালিক
- সাকিব আল হাসান কত টাকার মালিক
- মুশফিকুর রহিম কত টাকার মালিক
- মুকেশ আম্বানি কত টাকার মালিক, কততম ধনী, বাড়ির দাম ও লাইফস্টাইল
- মনোয়ার হোসেন ডিপজল কত টাকার মালিক
- মেসি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য -সর্বকালের সেরা এই খেলয়ার সম্পর্কে জানুন
- জেফ বেজোস কত টাকার মালিক
- ইলন মাস্ক কত টাকার মালিক -মোট সম্পদের বিস্তারিত দেখুন