কুমার শানু – এই নামটি কে না জানে? ভারতীয় সঙ্গীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যাঁর কণ্ঠে ধারণ করে গান যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। আমাদের আজকের পোস্টে এই গায়কের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনারা যারা কুমার শানুর গান পছন্দ করেন তারা পোস্ট টি শেয়ার করবেন। –Kumar Sanu Koto Takar Malik
শৈশব ও প্রারম্ভিক জীবন:
১৯৫৭ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন কেদারনাথ ভট্টাচার্য, যিনি পরবর্তীতে ‘কুমার শানু’ নামে খ্যাতি অর্জন করেন। গানের প্রতি ছোটবেলা থেকেই ছিল তাঁর তীব্র আগ্রহ। পিতা পশুপতি ভট্টাচার্য, একজন সঙ্গীতশিল্পী, ছিলেন তাঁর প্রথম গুরু।
কর্মজীবনের শুরু:
১৯৭৯ সালে কলকাতায় গান গাওয়া শুরু করেন কুমার শানু। হোটেল, অনুষ্ঠানে গান গেয়ে তিনি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
বলিউডে প্রবেশ:
১৯৮০ সালের দশকের শেষের দিকে জগজিৎ সিং তাঁকে হিন্দি ছবি ‘আন্ধিয়া’য় গান গাওয়ার সুযোগ দেন। এরপর ‘জাদুকর’ ছবিতে কল্যাণজী-আনন্দজীর সুরে গান গেয়ে বলিউডে স্থায়ী জায়গা করে নেন।
খ্যাতির শিখরে:
১৯৯০-২০০০ সালের দশকে কুমার শানু ছিলেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক। ‘বাজীগর’, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’, ‘কোয়েল’, ‘মুঝসে শাদি করোগি’ -এর মতো অসংখ্য জনপ্রিয় ছবিতে তাঁর গাওয়া গান আজও শ্রোতাদের মনে দাগ কেটে আছে।
সম্মাননা ও পুরষ্কার:
তাঁর অসামান্য গানের জন্য কুমার শানু পদ্মশ্রী, দাদাসাহেব ফালকে স্মৃতি পুরষ্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার, ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার সহ অসংখ্য পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। কুমার শানুর গানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল তাঁর স্পষ্ট উচ্চারণ এবং भावपूर्ण গাওয়া। তিনি যেকোনো ধরণের গানে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারেন।
কুমার শানু কত টাকার মালিক
বর্তমানেও কুমার শানু সক্রিয়ভাবে গান গাচ্ছেন। তিনি প্রায় ৯৮ কোটি টাকার মালিক। তার সম্পদের সঠিক তথ্য অনলাইনে এ প্রকাশ করেন নি। তাই এটি একটি আনুমানিক হিসেব বলা হয়েছে।
উপসংহার:
কুমার শানু – কেবল একজন গায়ক নয়, তিনি একজন যুগ। তাঁর গান আজও শ্রোতাদের মনে জীবন্ত, এবং ভবিষ্যতেও তাঁর গান গুলি অনুপ্রেরণা জোগাবে।
আরো দেখুনঃ
আরাভ খান কত টাকার মালিক, দেখুন তার জীবন বৃত্তান্ত