নাম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল
অবস্থান: চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
নদী: কর্ণফুলী
দৈর্ঘ্য: ৩.৩২ কিলোমিটার
প্রস্থ: ১৭.৬ মিটার
গভীরতা: ১৫০ ফুট (নদীর তলদেশ থেকে)
লেন: ৪ টি (২ টি প্রতি দিক)
উচ্চতা: ৫.৩ মিটার
নির্মাণকারী: চায়না কমিউনিকেশন এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড
নির্মাণ শুরু: ২০১৭ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারী
উদ্বোধন: ২০১৯ সালের ২৪শে জুন
ব্যয়: ১০,৬৮৯ কোটি টাকা
Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Tunnel Facts
বৈশিষ্ট্য:
- দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ও দীর্ঘতম নদী তলদেশের সড়ক সুড়ঙ্গপথ
- বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ
- ৪ টি লেন (২ টি প্রতি দিক)
- সর্বোচ্চ গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা
- আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যেমন: সিসিটিভি ক্যামেরা, ফায়ার অ্যালার্ম, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা
- টানেলের ভেতরে বায়ু পরিবর্তনের ব্যবস্থা
সুবিধা:
- চট্টগ্রাম নগর ও বন্দর এলাকার যানজট কমিয়েছে
- চট্টগ্রামের দুই তীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করেছে
- দক্ষিণাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করেছে
- বাণিজ্য ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়েছে
- পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে
টোল:
- মোটরসাইকেল: ৫০ টাকা
- গাড়ি: ২০০ টাকা
- বাস: ৫০০ টাকা
- ট্রাক: ১০০০ টাকা
কর্ণফুলী টানেল: দক্ষিণাঞ্চলের নব দিগন্ত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ বা ‘কর্ণফুলী টানেল’ দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর উদ্বোধিত এই টানেলটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম সাবমেরিন রোড টানেল।
টানেলের বৈশিষ্ট্য:
- দৈর্ঘ্য: ৩.৩২ কিলোমিটার (অ্যাপ্রোচ রোড সহ ৯.৩৯ কিমি)
- প্রস্থ: ১০.৮ মিটার
- লেন: ৪ টি (দুই দিকে দুইটি)
- নকশা: চীনা ‘কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড’ (CCCC)
- নির্মাণ ব্যয়: ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা
টানেলের প্রভাব:
- চট্টগ্রাম নগর ও কর্ণফুলী উপজেলার মধ্যে যানবাহন চলাচলের সময় ৪০ মিনিট থেকে কমে ৩ মিনিটে নেমে এসেছে।
- দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে।
- পতেঙ্গা, কক্সবাজার, সন্দ্বীপ, মহেশখালীসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দ্রুত যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
- চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
- নতুন নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
- স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পরিবেশগত প্রভাব:
- টানেল নির্মাণের ফলে নদীর জীববৈচিত্র্যের উপর কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
- টানেলের ভেতর দিয়ে যানবাহন চলাচলের ফলে বায়ু দূষণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
সতর্কতা:
- টানেলের ভেতরে গাড়ি চালানোর সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- নির্ধারিত গতিসীমার চেয়ে বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।
- টানেলের ভেতরে ধূমপান, আগুন জ্বালানো এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা যাবে না।
উপসংহার:
কর্ণফুলী টানেল দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। টানেলের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে এর সর্বোচ্চ সুফল ভোগ করা সম্ভব হবে।
আরো দেখুনঃ
- সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড
- উট সম্পর্কে ১০টি বাক্য
- উট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
- ভিডিও ব্লগ শুরু করার জন্য ইউনিক শুভেচ্ছা বার্তা
- সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পদমর্যাদা কি, ১৩ পদমর্যাদা কি কি
- পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হেয়ার শো কোনটি?
- সিংহ সম্পর্কে অজানা তথ্য -বিস্তারিত দেখুন এখানে
- বডি স্প্রে আতর এবং পারফিউমের মধ্যে পার্থক্য
- হাতি সম্পর্কে অজানা তথ্য -জেনে রাখুন এখনি
- বাদুর সম্পর্কে অজানা তথ্য -ঘন্টায় প্রায় ৬০০ পোকা খেতে পারে