Facts About Camel 

উট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য -১৩০ লিটার পানি পান করে একবারে

আল্লাহর নিখুত সৃষ্টি হলো উট। উট নোনা পানি পান করতে পার এমনকি মৃত সাগরের পানিও পান করতে পারে। এতে তার রক্ত চাপ বারে না কারন তার কিডনী পানি কে ফিল্টার করে, যাতে সে যে কোনো তাজা পানি পান করতে পারে। তার কিডনী পানি থেকে লবণ কে আলাদা করে দেয়।- Facts About Camel 

উট কাটা খেতে পারে, এতে তার পাকস্থলি ও অন্ত্রের কোনো ক্ষতি হয় না। কারণ তার লালা এসিড এর মতো কাটা গলিয়ে দেয়। পরে সেই কাটা রুটি ও আটার মতো খেয়ে ফেলে। এজন্য হাতে পায়ে কাটা বিধলে আরব বেদুইন রা সেখানে উটের লালা লাগিয়ে দেয়। যাতে সেই কাটা গলে বেরিয়ে আসে।

উটের চোখের পর্দা দুটি, একটী পাপড়ির পর্দা এবং একটি মাংসের। এজন্যেই উট মরুভূমির ধূলিকণার মধ্যেও চলতে পারে এবং তার চোখের কোনো ক্ষতি হয় না। কারণ সে তখন স্বচ্ছ পাপড়ির পর্দা বন্ধ করে দেয়।

উট তার দেহের তাপমাত্রা পরিবর্তন করতে পারে। বরফ ঢাকা জমিতে থাকলে সে তার তাপমাত্রা বাড়াতে পারে এবং উত্তপ্ত মরুভূমিতে থাকলে সে তার তাপমাত্রা কমাতে পারে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআন এ বলা হয়েছে, “তারা কি উটের দিকে দেখে না কীভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।”

উট প্রকৃতির এক মহাবিশ্বয়। মরুভূমির উত্যপ্ত বালির উপর ঘন্টার পর ঘন্টা পা ফেলে রাখে। কোনো পানি পান না করে মাসের পর মাস চলে। দেড়শ কেজি ওজন পিঠে নিয়ে শত মেইল হেটে পার হয়। উটের মতন এত অসাধারণ ডিজাইনের প্রাণী বিজ্ঞানী দের কাছে এক মহাবিশ্বয়।

মানুষ সহ বেশিরভাগ স্তন্যপায়ী প্রানীর দেহের তাপমাত্রা সাধারণত ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর আশে পাশে হয়ে থাকে। যদি দেহের অভ্যন্তরীন তাপমাত্রা বেড়ে ৩৮.৫ ডিগ্রীর বেশি হয়ে থাকে তখন অভ্যন্তরীণ অঙ্গ গুলোর ক্ষতি হতে থাকে। চল্লিশ ডিগ্রীর বেশি হয়ে গেলে লিভার, কিডনী, মস্তিস্ক, খাদ্যতন্ত্রের ব্যপক ক্ষতি হয়। ৪১ ডিগ্রী তাপমাত্রায় শরীরের কোষ মরে যেতে শুরু করে। এ কারণেই যখন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের অভ্যন্ত্ররীন তাপমাত্রা স্বাভাবিক এর থেকে বেশি হয়ে যায় তখন শরীর তাপ বের করে দিয়ে ঠান্ডা হয়ে যায়।

কিন্তু উটের জন্য এভাবে পানি অপচয় করা বিলাসিতা। কারণ মরুভূমিতে সবচেয়ে দূর্লভ সম্পদ হচ্ছে পানি। এ কারণে উটের শরীর এ এক বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। ভোরবেলা উটের শরীর এর তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রী থাকে। তারপর আবহাওয়া প্রচন্ড গরম হয়ে যায়। তখন অভ্যন্তরীন তাপমাত্রা বেড়ে ৪১ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠে যায়। এরপর থেকেই এটী ঘামা শুরু করে। তার আগে পর্যন্ত এটি পানি ধরে রাখে।

এভাবে প্রতিদিন উট স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে প্রচন্ড জ্বরের তাপমাত্রা পর্যন্ত সহ্য করে। এর শরীর এর ভেতরে ব্যবস্থা রাখা আছে যেনো তা দিনের পর দিন ভীষন জ্বর সহ্য করার পরেও অভ্যন্তরীন অঙ্গ গুলোর বড় ধরনের ক্ষতি না হয়।

উটের রক্ত বিশেষ ভাবে তৈরি প্রচুর পরিমানে পানি ধরে রাখার জন্য। উট যখন একবার পানি পান করা শুরু করে তখন এটি প্রায় ১৩০ লিটার পানি পান করে। প্রায় ৩ টি গাড়ির ফুয়েল টাংক এর সমান পানি ১০ মিনিট এর মধ্যে পান করে ফেলতে পারে।

এই বিপুর পরিমানের পানি অন্য কোনো প্রাণী পান করলে রক্তে মাত্রাতিরিক্ত পানি গিয়ে অভিশ্রবণ চাপের কারণে রক্তের কোষ ফুলে ফেপে যেতো। কিন্তু উটের রক্তের কোষে এক বিশেষ আবরণ আছে যা অনেক বেশি চাপ সহ্য করতে পারে। এই বিশেষ রক্তের কারণেই উট এর পক্ষে একবারে এত পানি পান করা সম্ভব হয়। উটের কোষ হচ্ছে চর্বির আধার। চর্বি উটকে শক্তি এবং পুষ্টি যোগায়। আর পানি শরির এর যাবতীয় অভ্যন্তরীন কাযকর্ম সচল রাখে। শরীর এর তাপমাত্রা ঠিক রাখে। একবার যথেষ্ট খাবার এবং পানি নেয়ার পর একটি উট ৬ মাস খাবার এবং পানি পান না করেই টিকে থাকতে পারে।

উট সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টস

উটের বিভিন্ন নাম 
– মরুভূমির জাহাজ,

উটের আরবি নাম 
– جمل -জামালুন – উট

উটের বিশিষ্ট 
– পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

উট সৃষ্টির রহস্য 
– পোস্টে দেখুন।

উট কিভাবে মরুভূমিতে টিকে থাকে 
-মরুভূমির প্রতিকূল পরিবেশের সাথে অভিযোজিত শারীরিক বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে উট টিকে থাকে।

উটের খাদ্য কি
– উট মরুভূমির উদ্ভিদ, যেমন – কাঁটাযুক্ত গাছ, লতাপাতা, এবং শুকনো ঘাস খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।

উটের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য
– মরুভূমির প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার জন্য উটের শারীরিক ও আচরণগত বৈশিষ্ট্য বিশেষভাবে অভিযোজিত

উটের প্রতিশব্দ
– উটের প্রতিশব্দ: উষ্ট্র।

উট কি সাপ খায় 
– না, উট সাধারণত সাপ খায় না। উটের খাদ্য তালিকায় মরুভূমির উদ্ভিদ, যেমন- কাঁটাযুক্ত গাছ, লতাপাতা, এবং শুকনো ঘাস অন্তর্ভুক্ত। তবে, কিছু বিরল ক্ষেত্রে, যেমন খাদ্যের অভাব হলে, উট সাপ খেতে পারে। মনে রাখতে হবে, সাপের বিষক্রিয়া উটের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

উটের কুজে কি থাকে
– উটের কুঁজে চর্বি থাকে। এই চর্বি শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। যখন খাবার কম থাকে, তখন উট তাদের শরীরের চাহিদা পূরণের জন্য এই চর্বি ব্যবহার করে। এই চর্বি জল তে রূপান্তরিত হতে পারে, যা উটকে মরুভূমির তীব্র তাপমাত্রায় দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকতে সাহায্য করে।

আরো দেখুনঃ 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top