স্টেভিয়া (Stevia rebaudiana) ‘Asteraceae’ পরিবারের একটি বহুবর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। ‘মধুপাতা’, ‘চিনিপাতা’, ‘মিষ্টি ঘাস’, ‘বল-কা-হি-হি’ ইত্যাদি নামেও এটি পরিচিত। –Facts About Stevia
গুল্ম জাতীয় উদ্ভীদ স্টেভিয়া যার ১ কেজি শুকনো পাতা ৩০ থেকে ৪০ কেজি চিনির চাহিদা পূরণ করতে পারে। বাংলাদেশে সুগার ক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউট এর উদ্যগে পরিক্ষামূলকভাবে এর সফলতা আসায় রাজসাহী তে সম্প্রতি বাণিজ্যিক ভাবে উতপাদন শুরু করেছেন এক উদ্যক্তা।
আমাদের আজকের পোস্টে এই স্টেভিয়া সম্পর্কে রইলো বিস্তারিত তথ্য। নতুন এই উদ্ভীদ সম্পর্কে সর্বাধিক জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন এখানে। চিনি গাছ নামে পরিচিত এউ স্টেভিয়া রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাংলাদেশে।
Table of Contents
স্টেভিয়া গাছ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
স্টেভিয়া (Stevia rebaudiana) Asteraceae পরিবারের একটি বহুবর্ষজীবী ভেষজ গাছ। এটি ‘মধুগাছ’, ‘চিনিগাছ’, ‘মিষ্টিপাতা’ ইত্যাদি নামেও পরিচিত। স্টেভিয়ার পাতা চিনির চেয়ে 200-300 গুণ বেশি মিষ্টি, তবে এতে কোনও ক্যালোরি বা কার্বোহাইড্রেট নেই।
স্টেভিয়া কোথায় পাওয়া যায়
- স্টেভিয়া দক্ষিণ আমেরিকার প্যারাগুয়ে ও ব্রাজিলের স্থানীয় গাছ।
- বর্তমানে চীন, জাপান, ভারত, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, ইউএসএ সহ বিশ্বের অনেক দেশে চাষ করা হয়।
- বাংলাদেশেও স্টেভিয়ার চাষ ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে।
স্টেভিয়া চাষ পদ্ধতি
- মাটি: স্টেভিয়া হালকা, ঝুরঝুরে, জৈব সার সমৃদ্ধ মাটিতে ভালো জন্মে।
- জলবায়ু: স্টেভিয়া গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও উপ-গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুতে ভালো জন্মে।
- চারা: বীজ, কাটিং, টিস্যু কালচারের মাধ্যমে স্টেভিয়ার চারা তৈরি করা যায়।
- রোপণ: বর্ষাকালে স্টেভিয়ার চারা রোপণ করা ভালো।
- সার প্রয়োগ: জৈব সার, রাসায়নিক সার ব্যবহার করা যায়।
- পোকামাকড় ও রোগ: স্টেভিয়ায় তেমন কোনো পোকামাকড় ও রোগ দেখা যায় না।
- ফসল সংগ্রহ: বীজের জন্য ৬-৮ মাস এবং পাতার জন্য ৩-৪ মাস পর ফসল সংগ্রহ করা যায়।
স্টেভিয়া খাওয়ার উপকারিতা
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: স্টেভিয়া রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- ওজন কমানো: স্টেভিয়ায় ক্যালোরি নেই, তাই ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- দাঁতের স্বাস্থ্য: স্টেভিয়া দাঁতের ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: স্টেভিয়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- হজম উন্নত: স্টেভিয়া হজম উন্নত করতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: স্টেভিয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
স্টেভিয়া চিনি খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- অতিরিক্ত স্টেভিয়া খেলে পেট খারাপ, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব হতে পারে।
- গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের স্টেভিয়া খাওয়া উচিত নয়।
- কোনো ঔষধের সাথে স্টেভিয়া খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
স্টেভিয়ার অর্থনৈতিক গুরুত্ব
- স্টেভিয়ার চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা।
- স্টেভিয়ার পাতা থেকে তৈরি করা হয় স্টেভিওসাইড, যা চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
- স্টেভিওসাইড খাদ্য, পানীয়, ওষুধ, প্রসাধনী সামগ্রীতে ব্যবহার করা হয়।
চিনিগুড়া গাছ চেনার উপায়
- চিনিগুড়া গাছের পাতা লম্বাটে, ডিম্বাকৃতির এবং সবুজ রঙের।
- দেখতে অনেকটা তুলসী পাতার মতো।
- পাতার কিনারায় দাঁত থাকে।
- পাতার নিচের অংশে সাদা রোঁয়া থাকে।
- পাতা চিবিয়ে খেলে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়।
আরো দেখুনঃ
- কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য, দক্ষিণাঞ্চলের নব দিগন্ত
- সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড
- উট সম্পর্কে ১০টি বাক্য
- উট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
- ভিডিও ব্লগ শুরু করার জন্য ইউনিক শুভেচ্ছা বার্তা
- সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পদমর্যাদা কি, ১৩ পদমর্যাদা কি কি
- পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হেয়ার শো কোনটি?
- সিংহ সম্পর্কে অজানা তথ্য -বিস্তারিত দেখুন এখানে
- বডি স্প্রে আতর এবং পারফিউমের মধ্যে পার্থক্য
- হাতি সম্পর্কে অজানা তথ্য -জেনে রাখুন এখনি