বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দেশের ক্রিকেট পরিচালনাকারী সংস্থা। বিসিবির আয়ের উৎস হল টিভি রাইটস, স্পন্সরশিপ, আইসিসি থেকে প্রাপ্ত অর্থ এবং অন্যান্য। বিসিবির আয় ও সম্পদের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ সালের হিসাবে, বিসিবির আয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭০ কোটি টাকা এবং সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪১০ কোটি টাকা। এই পরিমাণে বিসিবি বিশ্বের পঞ্চম ধনী ক্রিকেট বোর্ড।- BCB Koto Takar Malik
Table of Contents
বিসিবির আয়ের উৎস
বিসিবির আয়ের প্রধান উৎস হল টিভি রাইটস। ২০২৩ সালে বিসিবি টিভি রাইটস বিক্রি করে প্রায় ৫০ কোটি টাকা আয় করেছে। স্পন্সরশিপ থেকে বিসিবির আয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ২০ কোটি টাকা। আইসিসি থেকে বিসিবির প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় ১০ কোটি টাকা। অন্যান্য খাত থেকে বিসিবির আয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ১০ কোটি টাকা।
বিসিবির সম্পদের মধ্যে রয়েছে ভূসম্পত্তি, স্থাপনা, সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি, নগদ অর্থ এবং ব্যাংকে জমা রাখা অর্থ। ২০২৩ সালের হিসাবে, বিসিবির সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪১০ কোটি টাকা।
বিসিবির আয় ও সম্পদের বৃদ্ধির কারণ:
বিসিবির আয় ও সম্পদের বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতি। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো পারফর্ম করছে। এই কারণে বিসিবির আয় ও সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিসিবির আয় ও সম্পদের বৃদ্ধির আরেকটি কারণ হল আইসিসির নতুন অর্থনৈতিক মডেল। এই মডেলের ফলে, ছোট দেশগুলোর ক্রিকেট বোর্ডগুলোর আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কারণে বিসিবির আয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিসিবির আয় ও সম্পদের ব্যবহার:
বিসিবির আয়ের বেশিরভাগ অংশ ব্যয় করা হয় ক্রিকেটের উন্নতির জন্য। বিসিবি ক্রিকেট খেলার বিস্তার, ক্রিকেটারদের উন্নয়ন, ক্রিকেট ভেন্যু নির্মাণ ও উন্নয়ন এবং ক্রিকেট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য অর্থ ব্যয় করে।
বিসিবি তার সম্পদের কিছু অংশ বিনিয়োগ করেও থাকে। এই বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত অর্থ ক্রিকেটের উন্নতির জন্য ব্যয় করা হয়।
উপসংহার:
বিসিবির আয় ও সম্পদের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতির জন্য আরও বেশি অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে।
আরো দেখুনঃ