ঈগল সম্পর্কে অজানা তথ্য

ঈগল হলো একপ্রকার বৃহৎ আকার, শক্তিধর, দক্ষ শিকারি পাখি। এরা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বাস করে এবং তাদের অনন্য বৈশিষ্ট্য ও দক্ষতার জন্য পরিচিত। ঈগল সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানি, কিন্তু এর মধ্যে কিছু অজানা তথ্যও রয়েছে। এই আর্টিকেলে আমরা ঈগল সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য সম্পর্কে জানব।- Facts About Eagle

ঈগলের দৃষ্টিশক্তি

ঈগলের দৃষ্টিশক্তি মানুষের চেয়ে অনেক বেশি তীক্ষ্ণ। ঈগল এক মাইল দূর থেকেও শিকার দেখতে পারে। ঈগলের চোখে বিশেষ ধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকে যা তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিশক্তি প্রদান করে। এই রঞ্জক পদার্থের নাম হলো রড কোষ। রড কোষগুলি আলোর কম স্তরেও কাজ করতে পারে, তাই ঈগলরা রাতে শিকার করতে সক্ষম হয়।

ঈগলের বাসা

ঈগল সাধারণত উঁচু গাছে বা পাহাড়ের চূড়ায় বাসা বাঁধে। ঈগলের বাসা খুবই শক্ত হয় এবং এটি একাধিক প্রজন্ম ধরে ব্যবহৃত হয়। ঈগল বাসা তৈরি করতে বড় বড় ডালপালা, ঘাস, পাতা এবং অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করে। একটি পূর্ণবয়স্ক ঈগলের বাসা প্রায় 2 মিটার চওড়া এবং 1 মিটার উঁচু হতে পারে।

ঈগলের শিকার

ঈগল বিভিন্ন ধরনের প্রাণী শিকার করে, যেমন মাছ, স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি এবং সরীসৃপ। ঈগল শিকার করার জন্য তার শক্তিশালী ঠোঁট, নখ এবং দৃষ্টিশক্তি ব্যবহার করে। ঈগল তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিশক্তি ব্যবহার করে শিকারকে খুঁজে বের করে এবং তারপর তার শক্তিশালী ঠোঁট এবং নখ দিয়ে শিকারকে ধরে ফেলে।

ঈগলের প্রজনন

ঈগল সাধারণত এক বছর বয়সে প্রজনন শুরু করে। ঈগল প্রজনন মৌসুমে একজোড়া পাখি একসাথে থাকে। ঈগল একবারে এক থেকে পাঁচটি ডিম পাড়ে। ডিম ফুটতে প্রায় 45 থেকে 55 দিন সময় লাগে। ঈগলের বাচ্চা জন্মের পর মা বাবা মিলে তাদের লালন-পালন করে।

ঈগলের বিলুপ্তি

ঈগল বিভিন্ন কারণে বিলুপ্তির হুমকির মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাসস্থান ধ্বংস, দূষণ এবং শিকার।

ঈগলের কিছু অজানা তথ্য

  • ঈগল প্রায় 60 প্রজাতির হয়ে থাকে।
  • সবচেয়ে বড় ঈগল হলো হাস্ট ঈগল, যার ওজন প্রায় 20 কেজি এবং ডানা বিস্তৃত অবস্থায় প্রায় 3 মিটার পর্যন্ত হয়।
  • সবচেয়ে ছোট ঈগল হলো ফিজি ঈগল, যার ওজন মাত্র 100 গ্রাম।
  • ঈগল প্রায় 20 বছর বাঁচে।
  • ঈগল মাছ, স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, সরীসৃপ, এমনকি অন্যান্য ঈগলও শিকার করে।
  • ঈগল তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিশক্তি ব্যবহার করে শিকারকে 10 কিলোমিটারেরও বেশি দূর থেকে দেখতে পারে।
  • ঈগল তার শক্তিশালী ঠোঁট এবং নখ দিয়ে শিকারকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
  • ঈগল প্রজনন মৌসুমে একজোড়া পাখি একসাথে থাকে।
  • ঈগল প্রজনন মৌসুমে একবারে এক থেকে পাঁচটি ডিম পাড়ে।
  • ঈগলের বাচ্চা জন্মের পর মা বাবা মিলে তাদের লালন-পালন করে।

ঈগলের কিছু অতিরিক্ত তথ্য

  • ঈগল প্রায়শই একই বাসা বছরের পর বছর ব্যবহার করে।
  • ঈগলের বাসা এতই শক্তিশালী যে এটি বজ্রপাত সহ্য করতে পারে

আরো দেখুনঃ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top