ঘরোয়া পদ্ধতিতে ওজন কমানোর উপায় ।আজ কাল আমরা সবাই আমাদের স্বথ্য নিয়ে অনেক সচেতন,আমরা আস্তে আস্তে বুঝতে শুরু করেছি যে আমাদের শরীরের আলাদা যত্ন নেয়া দরকার,শরীর যদি মুটিয়ে যায় তাহলে শরীরে অনেক রকম রোগ ব্যাধি দেখা যায়।তাই আমাদের উচিত সে ব্যাপারে বিশেষ নজর রাখা জরুরী।আমরা ঘরোয়া ভাবেই আমাদের ওজন কমাতে পারি। আসুন আমরা জেনে নেই কিভাবে তা আমরা করতে পারি।Ojon komanor Shohoj Upay
ওজন কমানোর সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ও দীর্ঘস্থায়ী উপায় হলো নিয়মিত ডায়েট ফলো করে আস্তে আস্তে কমিয়ে ফেলা।কম খান কিন্তু খাওয়া বন্ধ করা যাবেনা
আপনি চাইলে খুব সহজে আপনার ওজন কমিয়ে নিতে পারবেন। তবে,ওজন কমানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং দৈনন্দিন খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার ওজন ধীরে ধীরে কমিয়ে নিতে পারবেন।
- প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে।
- শর্করা জাতীয় খাবার থাওয়া বাদ দিতে হবে।
- খাদ্যের তালিকায় সুশম খাবার রাখতে হবে।
- প্রচুর পরিমান সালাত খেতে হবে।
- সকালে খালি পেটে কুশুম গরম পানি দিয়ে লেবুর রশ খেতে হবে।
- আর যতটুকু সম্ভব ফী হিট ব্যায়াম করতে হবে।
ডায়েটে কি কি খাওয়া যাবে না
ডায়েটে কি কি খাওয়া যাবে না। ডায়েট করলে নানা নীয়ম কানুন পালন করতে হবে,তাহলেই ডায়েটে আশানুরুপ ফল পাউয়া যাবে।এই সময়ে আমাদের অনেক কিছুই মেনে চলতে হবে,বিশেষ করে খাওয়া দাওয়া অনেক কিছুই বাদ দিতে হবে।তাহলেই আমাদের ডায়েটের ফল পাওয়া যাবে। নিচে ডায়েট চলা কালীন কি কি খাওয়া যাবে না তা দেয়া হলোঃ
- ভাত জাতীয় সকল খাবার ,যেমন ভাত,খিচুড়ি,মূড়ি,চিড়া, ইত্যাদি,
- মিষ্টি জাতীয় সকল খাবার ,যেমন চিনির জুস,পায়েশ,সহ সকল মিষ্টি জাতীয় খাবার।
- খারাপ চর্বি যেমন ,সয়াবিন তেল দিয়ে রান্না করা সকল খাবার,ভাজা পড়া, তেলে ভিজিয়ে ভাঝি করা কোন খাবার খাউয়া যাবে না।
- প্রোসেস করা সকল খাবার বর্জন করতে হবে, এবং কি আমাদের সব সময় অর্গানিক খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
- ফাস্টফুড কোনভাবেই খাওয়া যাবেনা, বর্তমান সময়ে ফাস্টফুড খুবি জনপ্রিয় একটি খাবার, কিন্তু শরীরের জন্য এটি খুবই খারাপ,তাই আমাদের অবশ্যই এই ফুড এড়িয়ে চলতে হবে।
ডায়েটে কি কি খেতে হবে
আমরা সচরাচর শুনে থাকি যে ,ডায়েট চলাকালীন সময়ে কিছুই খাওয়া যাবে না । কিন্তু ধারণাটি ভুল, আমাদের অবশ্যই দেখে শুনে ভালো খাবার গুলো খেতে হবে, তাহলে শরীরের শক্তি ও বল পাওয়া যাবে, সাথে সাথে শরীরের বাড়তি চর্বি গুলো কেটে যাবে তাহলে আমাদের ডায়েট সফল হবে আর শরীরের ওজন কমতে থাকবে ।আসুন তাহলে আমরা জেনে নেই ডায়েট চলাকালীন সময় আমরা কি কি খাবঃ
- সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস খাবো।
- তারপরে দুপুরে আমরা সবজি শসা টমেটো সালাদ, ডিম মাছ কিংবা মাংস অল্প তেলের রান্না করা খাবো।
- খাবারগুলো অবশ্যই আমরা এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল দিয়ে রান্না করে নিব।
- অল্প শুধু ডিম অথবা ডিম ভাজি , আমরা বাটার দিয়ে করে নেব।
- আমরা কিছু চিনা বাদাম নেব যা ঘি দিয়ে ভেজে নেব।
- যেসব খাবার খাব সেগুলো অবশ্যই আলতো হিটে রান্না করা হবে।
- আমরা চা বা কফি যেটাই খাই নাই কেন ,তা আবশ্যই চিনি মুক্তো হতে হবে।
- আমরা কিছু টক ফল খেতে পারবো ,যেমন আমল্কি,আভোকাডো ইত্যাদি।
পেটের মেদ কমানোর উপায়
পেটার চর্বি খুবি বাঝে একটা ব্যাপার,পেটের চর্বি আমাদের অনেক কষ্টের কারন,এটা আমাদের খুবি বাঝে ভাবে উপস্থাপন করে,এর কারনে আমরা অল্প কাজ করেই হাপিয়ে যাই,তাই আমাদের এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে,পেটের চর্বি কমাতে হলে আমার একটু কষ্ট করতে হবে,যেমন এ জন্যে আমাদের কিছু পেটের ব্যায়াম করতে হবে, আবশ্য এগুলা আমরা আমাদের বিছানায় বসে বা শুয়েই করতে পারবো।
- প্রতিদিনের সকালটা শুরু হোক লেবুর সরবত দিয়ে। এই পদ্ধতি পেটের মেদ কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী ১টি উপায়। ১ গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু চিপে সরবত করে সঙ্গে একটু লবণ মিশিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে একটু মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু চিনি মিশাবেন না। প্রতিদিন সকালে পানীয়টি পান করুন। এই পানীয় আপনার বিপাক প্রক্রিয়া বাড়িয়ে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
- হাঁটাচলা, আস্তে আস্তে দৌড়ানো, সাঁতার কাটাও যদি নিয়মিতভাবে চালিয়ে যেতে পারেন তবেই যথেষ্ট।
প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলোতে সাধারণত অতিরিক্ত চিনি, ফ্যাট বা চর্বি এবং ক্যালোরি ব্যবহার করা হয়। প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলো অনেক মজাদায়ক হয়ে থাকে যা আপনাকে আরো সেইসব খাবার বেশি বেশি খেতে ঊদ্বুদ্ধ করবে।
- সাদা ভাত কম খান অথবা কিছুদিনের জন্য ছেড়ে দিন সাদা চালের ভাত খাওয়া। সাদা চালের ভাতের বদলে বিভিন্ন গম জাতীয় শস্য যুক্ত করে নিন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। তাছাড়া লাল চালের ভাত, গমের রুটি, ওটস, অন্যান্য শস্য যুক্ত করে নিতে পারেন।
মেয়েদের ডায়েট চার্ট
মেয়েদের ডায়েট চার্ট। মেয়েদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আরো বেশি নজর দেওয়া উচিত কারণ তাদের বাসা বাড়িতে অনেক বেশি আর এখন মেয়েরা বাসা বাড়ির পাশাপাশি অফিস আদালতেও সমানতালে কাজ করে থাকেন তাই তাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন কাজের পরিবেশ এবং শরীরের ত্বক সবই ভালো থাকে।
বাঙালি মহিলাদের ওজন বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভাত বেশি করে দায়ি। তাই বলে ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেবেন না। এক বাটি ভাত দুবেলা মিলিয়ে খান। বাকি শাক সবজি, তরকারি, মাছ, ডাল খান। ভাত খাওয়ার পরিমান কমান।
বসে বসে যাদের কাজ বা সময়ের অভাবে একদম হাঁটা হয় না তারা দিনে ৩০ মিনিট অন্তত হাঁটুন। আলাদা করে বেরনোর সময় না হলে ফোন এ কথা বলার সময় এক ঘর থেকে আরেকঘর হেঁটে হেঁটে কথা বলুন। দিনে ৩০ মিনিটের বেশি নিশ্চয়ই ফোন কল করা হয়। কাজে লাগান সেই সময়টাকে।
মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা মেয়েদের বেশি। সংযত হন মিষ্টি খাওয়ার ব্যাপারে। মিষ্টি খাবার শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটা কন্ট্রোল করা খুবই দরকার। চায়ে গাদা গাদা চিনি খাওয়া বন্ধ করুন। দিনে ৩ থেকে ৪ বার চা খেলে একবার চিনি দিয়ে চা খান। বাকি সময় চিনি ছাড়া খান। এক সপ্তাহ করুন অভ্যাস হয়ে যাবে।
প্রোটিন জাতীয় খাওয়ার নিজের মেনুতে যোগ করুন। এই খাবার শরীর সুস্থ্য রাখার সাথে সাথে মোটা হওয়ার প্রবণতা কমায়। সবুজ শাক সবজি, মাছ, ডিম মুরগির মাংস খান। রেড মিট এড়িয়ে চলুন।
একবারে অনেকটা খাবার না খেয়ে বারে বারে অল্প অল্প করেও খেতে পারেন। তবে রাতে কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
রাতের বেলা হজম ঠিকঠাক ভাবে না হওয়ার দরুন ওজন বেড়ে যায় হুড়হুড় করে। তাই সকাল থেকে বিকেল অব্দি যত হেভি খাওয়ার খান রাতে খান হালকা খাবার।
ডায়েট করছেন মানে সঠিক মাত্রায় নিয়ম মেনে খাচ্ছেন। তাই না খেয়ে থাকবেন না একদম। ওজন কমাতে না খেয়ে থাকা কোন সুরাহা নয়। বরং শরীরকে কষ্ট দেওয়া। তাই খাবার খান।
আরো দেখুনঃ