ঔষধ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটু অবচ্ছেদ্য অংশ। অসুস্থতা আমাদের চলার সঙ্গী। তাই ঔষধ ছাড়া জীবন যেনো কল্পনাও করা যায় না। আজকের উপস্থাপনায় আপনাদের জন্য রয়েছে এই ঔষধ সম্পর্কিত কিছু সর্বাধিক জিজ্ঞাসাকৃত প্রশ্নের উত্তর। আমরা বিভিন্ন সমস্যার জন্য বিভিন্ন ঔষধ ব্যবহার করে থাকি। সব ধরণের ঔষধ এরই কিছু মেয়াদ রয়েছে। এর সাথে রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন। যেমন সিরাপ এর মায়াদ থাকা সত্বেও কখন আর খাওয়া যাবে না সেসব আমাদের জানা থাকা অত্যান্ত জরুরি। তাই কোন ধরণের ঔষধ খোলার পর কতদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে সেওব দেখে আমাদের আজকের পোস্ট থেকে।-How long can the medicine be taken after opening?
সিরাপ খোলার কতদিন পর্যন্ত খাওয়া যায় সেই সব তথ্য আমাদের এখানে তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণত একটি মেডিসিন খোলার পর থেকে নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত সেটি ব্যবহার করা যাবে বা খাওয়া যাবে। তার বাইরে আপনাকে অবশ্যই খেয়ার রাখতে হবে যে ঔষধ টির বাহ্যিক কোনো পরিবর্তন হয়েছে কিনা। মেয়াদ থাকা কালীন সময়েই অনেক ঔষধ খোলার নির্দিষ্ট সময় পর আর খাওয়া যায় না। এর আগে যদি ঔষধ এর রঙ পরিবর্তন বা গন্ধ পরিবর্তন হয় তাহলেও সেটি আর ব্যবহার করা যাবে না। তাহলে চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত দেখে নেয়া যাক।
Table of Contents
সিরাপ খোলার পর কতদিন পর্যন্ত খাওয়া যায়
সিরাপ হচ্ছে ঔষধ এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ। সিরাপ আমরা বড় কিংবা ছোট সবাই কম বেশি খেইয়ে থাকি। কারণ বশত ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন সিরাপ খেয়ে থাকি। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্যই সিরাপ বেশি প্রয়োজন পড়ে। অসুখ সেরে যায় কিন্তু সিরাপ অনেক সময় রয়েছে যায়। এক্ষেত্রে আদের করণীয় হচ্ছে নির্দিষ্ট সময় মেনে সিরাপ খাওয়া।
সিরাপ সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে
প্রথমতো হচ্ছে গুড়া টাইপের সিরাপ। অনেক সিরাপের ভেতরে শুধুমাত্র গুড়া টাইপের পাউডার দেয়া থাকে যেটি গরম পানি নরমাল করে গুলে তারপর পান করতে হয়। এসব সিরাপ সাধারণত এন্টিবায়টিক হিসেবেই বেশি পাওয়া যায়। এই পাউডার টাইপের সিরাপ সাধারণত চৌদ্দ(১৪) দিন খাওয়া যায়। এর বেশি সময় হলে সেই সিরাপ ব্যবহার করা উচিত হবে না ।
এরপর রয়েছে নরমাল তরল সিরাপ। এই জাতীয় সিরাপ ই সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। কাশি, জ্বর কিংবা তরল জাতীয় সকল সিরাপ ২ থেকে সর্বচ্চ ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। তবে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে ৩ সপ্তাহের পর কোনো প্রকার সিরাপ না খাওাই ভালো। এছাড়া সিরাপ খাওয়ার আগে অবশ্যই সিরাপ এর এক্সপায়ার ডেট চেক করে নিন।
মলম খোলার কতদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়
মলম আমরা অনেক সময় বিভিন্ন অসুস্থতায় ব্যবহার করে থাকি। একবার একটী কাজে মলম আনলে আমরা সেটি আজীবন ব্যবহার করতেই থাকি। আসলে ই ধারনা টি ভূল। একটি সময় আমাদের অষুধ গুলো আমাদের শরীর এর ক্ষতি করে থাকে। তাই মলম ৩ মাস সময়ের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়। যেকোনো মলম খোলার পর এটি সর্বোচ্চ ৩ মাস ব্যবহার করা যায়।
চোখের ড্রপ খোলার কত দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়
আপনি যদি চোখের সমস্যার জন্য ড্রপ কিনে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেটি নির্দিষ্ট মেয়াদ এর আগ পর্যন্ত ব্যবহার করুন। চোখের ড্রপ বলতে যে কোনো ড্রপ ২৮ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। এই দিন গুলোর মধ্যে আপনি যে কোন একটি দিন চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে পারে। তবে চোখের ড্রপ খোলার পর মেয়াদ সীমা হচ্ছে ২৮ দিন।
নাকের ড্রপ খোলার কতদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়
নাকের ড্রপ সাধারণত অনেক দিন পর্যন্ত আমরা ব্যবহার করে থাকি। তবে এইসব ড্রপ এ যে ডেট এক্সপায়রি রয়েছে সেগুলো অবশ্যপি মেনে চলতে হবে। নাকের ড্রপ ও সর্বচ্চ ২৮ দিন ব্যবহার করা যাবে। আপনি এই ড্রপ ঠান্ডা স্থানে রাখুন। এই বলে আবার ফ্রীজে রাখা ঠিক হব ন যেদিন খুলবেন সেদিন থেকে ২৮ তম দিন পর্যন্ত নাকের ড্রপ আনা যাবে। সময় নিয়ে পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
আরো দেখুনঃ
- ঘরোয়া পদ্ধতিতে ওজন কমানোর উপায়
- জুম্মা মোবারক স্ট্যাটাস
- রোজা ভঙ্গের কারণ-রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া
- ডাক যোগে চিঠি পাঠানোর নিয়ম
- বাংলাদেশ থেকে চীনে ডাক যোগে চিঠি পাঠানোর নিয়ম