Facts About Saudi Arabia

সৌদি আরব সম্পর্কে অজানা তথ্য -অবাক করা ঘটনা জেনে নিন

বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল হোটেল গুলোতে কেউ যায় বিশেষ প্রয়োজনে আবার কেউ যায় সময় কাটাতে। এই হোটেল গুলোতে আপনি যেভাবেই সময় কাটান না কেন আপনার মনোরঞ্জন করার জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষ সবসময় প্রস্তুত।

কি নেই এই হোটেল গুলোতে! মুখরোচক খাবার থেকে শুরু করে বিয়ার মদ এমনকি আপনি চাইলে নারী সঙ্গীও পেয়ে যাবেন অনায়াসে। কিন্তু ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে মদ বিয়ার কিংবা অবৈধ সম্পর্ক সম্পূর্ণ হারাম। আপনি জেনে সত্যিই অবাক হবেন সম্প্রতি প্রতিটি মুসলমানের প্রাণের দেশ সৌদি আরবে চালু করা হয়েছে হালাল পতিতালয়, হালাল নাইট ক্লাব, এবং হালাল সিনেমা হল। আমাদের আজকের পোস্টে সৌদি আরবের এই সমস্ত ফ্যাক্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।-Facts About Saudi Arabia

২.১৫ স্কয়ার কিলোমিটার নিয়ে সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় নদী বিহীন মুসলিম দেশ। এই দেশে একটিও নদী না থাকলেও আছে মরুভূমি। সৌদি আরবের টোটাল এরিয়ার প্রায় বেশিরভাগ অংশ মরুভূমি দিয়ে ঘেরা। তেল সমৃদ্ধ এই দেশটির টোটাল জিডিপির প্রায় ৭৫ শতাংশ নির্ভর করে তেল বাণিজ্যের উপরে। দেশটির বাৎসরিক ইনকামের প্রায় 95% আসে পেট্রোলিয়াম প্রোডাকশন থেকে। তাছাড়া অল্প কিছু পরিমাণে সোনার উৎপাদনও হয় এই দেশে।

সৌদি আরবের মোট জনসংখ্যা প্রায় 3 কোটি 50 লক্ষ। মজার ব্যাপার হচ্ছে এর মধ্যেও প্রায় ৫০ লক্ষ্যই বিদেশী। বাকি তিন কোটি জনসংখ্যার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি যুবক। যাদের বয়স 20 থেকে 30 বছরের মধ্যে। সৌদি আরবে ৬০ বছর বয়সের উপরে জনসংখ্যা রয়েছে মাত্র ৫%। এই দেশের জনগণ খুবই বিলাসবহুল জীবনযাপন করে। যদিও মূল চাহিদার প্রায় সবকিছুই সরকারি ভাবে প্রদান করা হয়।

বাল্যবিবাহের দিক দিয়ে সৌদি আরব সবার শীর্ষে। অনেক সময় সাত থেকে আট বছরের মেয়েদের বিয়ে দিতে দেখা যায়। বিয়ের ক্ষেত্রে এই দেশটিতে মেয়েদের মতামত তেমন একটি প্রাধান্য দেয়া হয় না। বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়ের বাবার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য করা হয়। সৌদি আরবে কোন মেয়ে যদি তার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে চায় তাহলে ওই মেয়েকে অবশ্যই তার বাবার কাছে থেকে লিখিত অনুমতি পত্র নিতে হবে। দেশটির নিয়ম অনুসারে ছেলেরা চাইলে বিয়ের পরে ডিভোর্স দিতে পারবে কিন্তু মেয়েরা তা পারবে না।

সৌদি আরবে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তাছাড়া সৌদি আরবে মৃত্যুদন্ডের ঘটনা একেবারেই কমন। প্রতিবছর দেশটিতে প্রায় 200 জনের ঘাড় থেকে মাথা আলাদা করে শিরচ্ছেদ এর মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

দৃষ্টিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা অন্যান্য মুসলিম দেশের তুলনায় অনেক ভালো। এই দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশই শিক্ষিত। দৃষ্টির জনসংখ্যার ১০০% ই মুসলমান। সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত রাজতন্ত্র প্রচলিত রয়েছে। দেশটির প্রশাসনের সকল গুরুত্বপূর্ণ পদেই রাজ পরিবারের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

এছাড়া পবিত্র এই দেশটিকে অমুসলিম কোন মানুষকে নাগরিকত্ব দেয়া হয় না। সৌদি আরবে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ঢিলেঢালা পোশাক পরা বাধ্যতামূলক।পোশাক পরিচ্ছেদের ক্ষেত্রে সৌদি প্রশাসন খুবই কঠোর অবস্থানে থাকে। দেশটির নিজস্ব কোন সংবিধান নেই। পবিত্র কোরআন একমাত্র সংবিধান। সৌদি আরবের যেকোনো আইন পবিত্র কোরআন এবং হাদিসের আলোকেই প্রণয়ন করা হয়।

দেশটির আরেকটি মজার ফ্যাক্স হচ্ছে এদেশের উপর দিয়ে যে সমস্ত বিমান উড়ে যায় ঐ সমস্ত বিমানে কোনরকম মাদকদ্রব্য পরিবহন করা হয় না। আপনি জেনে অবাক হবেন যে পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশ এবং প্রত্যেকটি এয়ারলাইন্স এই নিয়মটিকে খুব কঠোরভাবে পালন করে থাকে।

মাত্র কিছুদিন আগেও সৌদি আরবে মেয়েদের জন্য গাড়ি ড্রাইভ করার কোন অনুমতি ছিল না। সম্প্রতি সৌদি সরকার মেয়েদেরকে গাড়ি ড্রাইভ করার অনুমতি দিয়েছে। সৌদি আরব যেহেতু মরুভূমি দেশ তাই এখানে পানির পরিমাণ খুবই কম। আপনি জেনে অবাক হবেন যে এখানে এক লিটার পানির দামের চেয়ে এক লিটার তেলের দাম বেশি।

সৌদি আরব তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবসময় সতর্ক অবস্থানে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া চীন এর পরেই সবচেয়ে বেশি সামরিক বাজেট থাকে এই সৌদি আরবে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করে এই সেনাবাহিনী।

সৌদি আরবের জাতীয় ভাষা আরবি। কিন্তু আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে ইংরেজি ব্যবহার করা হয়।

সৌদি আরবের রাজধানীর নাম রিয়াদ। রিয়াদ i হচ্ছে সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় শহর। সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় উটের বাজারটি রয়েছে রিয়াদে। এখানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ টিরও বেশি উট বেচাকেনা হয়।

সৌদি আরবের সরকারি মুদ্রার নাম রিয়াল। এক রিয়াল সমান বাংলাদেশি টাকায় প্রায় 21 টাকার মতো। দেশটির ডায়াল কোড +৯৬৬। সৌদি আরব একটি স্বাধীন দেশ হলেও এখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই বললেই চলে। সৌদি আরবের সকল টেলিভিশন চ্যানেল এবং পত্রিকা সরাসরি সরকারের অধীনে পরিচালিত হয়। তাছাড়া এখানে রাজ পরিবারের সমালোচনা করা কেউ রাষ্ট্রদ্রোহীতা হিসেবে গণ্য করা হয়।

আরো দেখুনঃ 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top