মানুষের ত্বক সাধারণত ৪ ধরণের হয়ে থাকে।
- সাধারণ ত্বক
- তৈলাক্ত ত্বক
- শুষ্ক ত্বক এবং
- সংবেদনশীল ত্বক।
এখন জেনে নিন কোন ধরণের ত্বকে কোন ধরণের সাবান উপোযোগী সে সম্পর্কে।
Table of Contents
সাধারণ ত্বক এর জন্য কোন ধরণের সাবার উপযোগী
এই ধরণের ত্বকে তেমন কোন গুরুতর সমস্যা দেখা যায় না। বলা যায় ফ্রেন্ডলি ত্বক। যে কোন উপাদানযুক্ত সাবানের সাথে নিজেদের মানিয়ে নেয় সহজেই। যারা এই ত্বকের অধিকারী তারা সবচেয়ে চিন্তামুক্ত। সচরাচর এই ধরণের স্কিন টাইপে ইনফেকশন ব্যাকটেরিয়া এই ধরণের রোগ বিশেষের দেখা মিলে না। তাই যে কোন ধরণের সাবান ত্বকের জন্য উপোযোগী।
তৈলাক্ত ত্বক এর জন্য কোন ধরণের সাবার উপযোগী
যে সব মানুষ এই ধরণের ত্বকের অধিকারী হয়ে প্রায়ই তাদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়ে। কারণ এই তৈলাক্ততার কারণে ব্রণের উৎপত্তি ঘটে যখন তখন। শুধু তাই নয়, সারাক্ষণ মুখে তৈলাক্ত ভাব থাকার ফলে সৈন্দর্যের দিক থেকেও ভাটা পড়ে। যাদের অত্যন্ত তেলতেলে ত্বক তারা অবশ্যই প্রতিদিন সাবান দিয়ে গোসল করবেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে কোন সাবান নয়। অল্প খার যুক্ত এলোভেরা, চন্দন, দুধ, কমলা লেবুর নির্যাস এবং সশার রস যুক্ত, লেবুর নির্যাস, গোলাপের পাপড়ি যুক্ত সাবান অত্যন্ত উপোকারী এ ধরণের ত্বকের জন্য। এছাড়াও মেডিকেডেট সাবান ও ব্যাকটেরিয়া নাশক সাবান ও ব্যাবহার যোগ্য।
শুষ্ক ত্বক এর জন্য কোন ধরণের সাবার উপযোগী
শীত, গ্রীষ্ম বর্ষা কোন কালই বাদ পড়ে না শুষ্ক ত্বকের ফাটা জনিত সমস্যার হাত থেকে। তাই শুষ্ক ত্বকের জন্য উপোযুক্ত গ্লীসারিন, চন্দন, নিম, মশ্চারাইজিং ক্রীম যুক্ত, চারকল যুক্ত, নারিকেল তৈল, আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল যুক্ত সাবানের ব্যাবহারই উত্তম। এ জাতীয় ত্বকের কোষ শুষ্ক হয়ে যায়, যার ফলে মৃত কোষ জন্ম নেয়। কিন্তু এই সমস্ত উপাদান যুক্ত সাবানের ব্যাবহার মৃত কোষকে মেরামত করে নতুন কোষের জন্ম দিবে এবং ত্বকের আদ্রতা ফিরিয়ে আনবে।
সংবেদনশীল ত্বক এর জন্য কোন ধরণের সাবার উপযোগী
এই ত্বকের মানুষদের এলার্জী, লালচে ভাব ইত্যাদি সমস্যা লেগেই থাকে। আমাদের ত্বকের অনেকগুলো স্তর থাকে। সবচেয়ে বাইরে যে স্তরটি থাকে তাকে এপিডিডাইমিস বলা হয়, যা স্কীনকে প্রটেক্ট করে রাখে। যখন এই এপিডিডাইমিস ড্যামেজ হয় তখন স্কীন সেনসিটিভ হতে আরম্ভ করে। কারণ ধুলো ময়লা, ক্ষতিকর ইউভি রশ্নি দূষন ইত্যাদি থেকে ত্বককে রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় বেশিক্ষণ রোদে থাকলে কিংবা বেশি মেকাপ করলেও ত্বকের সেনসিটিভিটি বেড়ে যায়। তখন স্কীনের র্যাশ, ফুশফুরি, ইচিং এর মতো নানা সমস্যা শুরু হয়ে যায়। তাই এই সকল ত্বকের জন্য বাছাইকরা সাবানই যুক্তি যুক্ত।
যেমন ধরুন, মধু, দুধ, ল্যাভেন্ডার অয়েল, সিয়া বাটার ভিটামিন ই, যোযোবা অয়েল উপাদান দ্বারা তৈরি সাবান এ জাতীয় স্কীনের জন্য খুভই উপোকারী। তাই এখন থেকে নিজের স্কীন পরিক্ষা করে সেই স্কীনের জন্য উপোকারী সাবান ব্যাবহার করুন। এমনকি প্রয়োজন হলে স্কীন স্পেশালিস্ট এর সাথে যোগাযোগ করবেন। আর অবশ্যই মনে রাখবেন আপনার স্কীন আপনার অহংকার, তার সঠিক যত্ন নেয়া আপনার দায়িত্ব।