Your Website
Gopalganj Ramadan Calendar

গোপালগঞ্জ জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪

গোপালগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি জেলা। এ জেলার অধিকাংশ মানুষ মুসলিম। রমজান মাসে গোপালগঞ্জ জেলার মুসলিমরা সবাই রোজা রাখেন। রোজার জন্য সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রমজান মাসে সঠিকভাবে রোজা পালনের জন্য সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেহরির সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার ও পানীয় গ্রহণ করা উচিত, যাতে সারাদিন রোজা রাখার শক্তি পাওয়া যায়। ইফতারের সময় হালকা খাবার দিয়ে রোজা ভাঙা উচিত, তারপর ধীরে ধীরে ভারী খাবার গ্রহণ করা উচিত।

গোপালগঞ্জ জেলার মুসলমানদের জন্য কামনা করি, তারা রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা করে ইবাদত-বন্দেগিতে পূর্ণতা লাভ করুক।-Gopalganj Ramadan Calendar 2024

আজকের সেহরি ও ইফতারের সময় গোপালগঞ্জ

সেহরির শেষ সময় ও ইফতারের সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশের সর্বোচ্চ পাঁচটি স্থানের আকাশের অবস্থা বিবেচনা করে। এই পাঁচটি স্থান হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা এবং সিলেট।

গোপালগঞ্জ জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি অনুযায়ী, প্রথম রোজার সেহরির শেষ সময় হবে ০৪:৫৪ মিনিট এবং ইফতারের সময় হবে ৬.১২ মিনিট।

সেহরির সময় সঠিকভাবে পালন করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেহরির মাধ্যমে রোজাদাররা সারাদিনের জন্য শক্তি অর্জন করেন। ইফতারের সময়ও সঠিকভাবে পালন করা উচিত। কারণ ইফতারের মাধ্যমে রোজাদাররা সারাদিনের উপবাসের ক্ষুধা ও পিপাসা নিবারণ করেন।

গোপালগঞ্জ জেলার মানুষ রমজান মাসে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দিন কাটায়। তারা মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করে, কোরআন তেলাওয়াত করে এবং জাকাত প্রদান করে।

রোজার ক্যালেন্ডার গোপালগঞ্জ ২০২৪

গোপালগঞ্জ জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রতি বছরের মতো এবারও নির্ধারণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ২০২৪ সালের রমজান মাসের জন্য গোপালগঞ্জ জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি নিম্নরূপ:

                                 পবিত্র মাহে রমজান ১৪৪৫ হিজরি, ২০২৪ ইং 
         সেহরি এবং ইফতারের সময়সূচী 
             (গোপালগঞ্জ জেলার জন্য প্রযোজ্য)
রোজা তারিখ বার সেহরির
শেষ সময়
ইফতারের
সময় 
112 মার্চমঙ্গলবার4.546.12
213বুধবার4.536.12
314বৃহস্পতিবার4.526.12
415শুক্রবার 4.516.13
516শনিবার4.5o6.13
617রবিবার4.496.13
718সোমবার4.486.14
819মঙ্গলবার4.476.14
920বুধবার4.466.14
1021বৃহস্পতিবার4.456.15
1122শুক্রবার 4.446.15
1223শনিবার4.436.16
1324রবিবার4.426.16
1425সোমবার4.416.17
1526মঙ্গলবার4.46.17
1627বুধবার4.386.18
1728বৃহস্পতিবার4.366.18
1829শুক্রবার 4.356.19
1930শনিবার4.346.19
2031রবিবার4.336.19
211 এপ্রিলসোমবার4.326.2o
222মঙ্গলবার4.316.2o
233বুধবার4.3o6.2o
244বৃহস্পতিবার4.296.21
255শুক্রবার 4.286.21
266শনিবার4.276.22
277রবিবার4.266.22
288সোমবার4.256.23
299মঙ্গলবার4.246.23
3010বুধবার4.236.24

এই সময়সূচি বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারিত।

গোপালগঞ্জ জেলার অধিকাংশ মানুষ মুসলিম। তারা রমজান মাসে রোজা রাখেন। সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি অনুযায়ী তারা রোজা পালন করেন। গোপালগঞ্জ জেলার মানুষ রমজান মাসে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দিন কাটায়। তারা মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করে, কোরআন তেলাওয়াত করে এবং জাকাত প্রদান করে।

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচির গুরুত্ব

রমজান মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল হল সেহরি ও ইফতার করা। সেহরির মাধ্যমে সারাদিন রোজা রাখার শক্তি ও উদ্যম অর্জন করা হয়। আর ইফতারের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ করা হয় এবং আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের আশা করা হয়।

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি মেনে চলার মাধ্যমে একজন মুসলমান তার ঈমান ও আকিদাকে সুদৃঢ় করতে পারে। এছাড়াও, সেহরি ও ইফতারের সময় পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে মিলিত হয়ে ধর্মীয় আলোচনা ও গল্পগুজব করায় রমজানের আমেজ আরও বেশি উপভোগ্য হয়ে ওঠে।

রমজানের শিক্ষা

রমজান মাস শুধুমাত্র রোজা রাখার মাস নয়, বরং এটি একটি শিক্ষার মাস। এই মাসে একজন মুসলমানকে ধৈর্য, সহনশীলতা, দয়া, ক্ষমা ও অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়। রমজানের মাধ্যমে একজন মুসলমান তার আত্মশুদ্ধি ও আত্মকল্যাণ সাধন করতে পারে।

সেহরির সময় নির্ধারণের পদ্ধতি

গোপালগঞ্জ জেলার সেহরির সময় নির্ধারণ করা হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশিকা অনুসারে। এ নির্দেশিকা অনুসারে, সূর্যোদয়ের ৩০ মিনিট আগে সেহরির শেষ সময়।

ইফতারের সময় নির্ধারণের পদ্ধতি

গোপালগঞ্জ জেলার ইফতারের সময় নির্ধারণ করা হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশিকা অনুসারে। এ নির্দেশিকা অনুসারে, সূর্যাস্তের পর ইফতার করা হয়।

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচির গুরুত্ব

রোজার জন্য সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেহরিতে পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয় গ্রহণ করলে রোজার সময় শক্তি ও সতেজতা বজায় থাকে। আর ইফতারে হালকা ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলে রোজা ভাঙার পর অসুস্থতা হয় না।

গোপালগঞ্জ জেলার মুসলিমরা সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি অনুযায়ী রোজা পালন করে থাকেন। তারা মনে করেন, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি মেনে রোজা পালন করলে আল্লাহ তা’আলা তাদের রোজা কবুল করবেন।

আরো দেখুনঃ 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top