ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি

ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪

পবিত্র রমজান মাস ইসলাম ধর্মের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে একটি। এই মাসে মুসলমানরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও অন্য সকল প্রকার শারীরিক ও মানসিক চাহিদা থেকে বিরত থাকে। রমজান মাসের ফজিলত ও তাৎপর্য অপরিসীম। আমাদের ওয়েবসাইট এ আপনারা এই রমজান জুরে সকল জেলার তথ্যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি দেখে নিতে পারবেন। আমরা চেস্টা করবো ২০২৪ সালের সকল লেটেস্ট তথ্য দিয়ে রমজানের ক্যালেন্ডার উপস্থাপন করার। তাই আপনি যে জেলায় ই থাকুন না ক্যানো। এখানে আপনার জেলার রোজার ক্যালেন্ডার পেয়ে যাবেন সহজেই। ২০২৪ সালের ১২ই মার্চ বাংলাদেশে সম্ভাব্য রমজান শুরু হতে যাচ্ছে।

আজকের সেহরি ও ইফতারের সময় ঢাকা

ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারিত হয়। ২০২৪ সালের ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি অনুযায়ী, প্রথম রমজানে সেহরির শেষ সময় ভোররাত ৪টা ৩৯ মিনিট এবং ইফতারির সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিট। এভাবে প্রতি দিন কিছু কিছু সময়ের পরিবর্তন লক্ষা করা যাবে। তবে আমাদের ওই ওয়েবসাইট এ আপনি প্রতিদিনের সর্বশেষ আপডেট লক্ষ করতে পারবেন। আমরা চেস্টা করবো আপনাদের জন্য আপডেট তথ্য এখানে তুলে ধরার।

রোজার ক্যালেন্ডার ঢাকা ২০২৪

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট আগে সেহরির শেষ সময় ধরা হয় এবং সূর্যাস্তের পর সতর্কতামূলকভাবে ৩ মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের সময় নির্ধারণ করা হয়। সুবহে সাদিক হলো সেই সময় যখন আকাশে সূর্যোদয়ের প্রথম আলো দেখা যায়। এই সময় থেকে মুসলিমরা রোজা রাখা শুরু করে। সূর্যাস্তের পর সূর্যের আলো সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে গেলে ইফতার করা হয়। ঢাকা জেলার সকল মুসলমান এই ক্যালেন্ডার দেখেই রোজার মাস চলতে পারবেন। আশা করি এখানে দেয়া ক্যালেন্ডার আপনার ভালো লাগবে।

                            পবিত্র মাহে রমজান ১৪৪৫ হিজরি, ২০২৪ ইং 
                   সেহরি এবং ইফতারের সময়সূচী 
                      (ঢাকা জেলার জন্য প্রযোজ্য)
রোজা তারিখ বার সেহরির
শেষ সময়
ফজরের
ওয়াক্ত শুরু 
ইফতারের
সময় 
112 মার্চমঙ্গলবার4.514.586.1o
213বুধবার4.5o4.576.1o
314বৃহস্পতিবার4.494.566.1o
415শুক্রবার 4.484.556.11
516শনিবার4.474.546.11
617রবিবার4.464.536.11
718সোমবার4.454.526.12
819মঙ্গলবার4.444.516.12
920বুধবার4.434.5o6.12
1021বৃহস্পতিবার4.424.496.13
1122শুক্রবার 4.414.486.13
1223শনিবার4.4o4.476.14
1324রবিবার4.394.466.14
1425সোমবার4.384.456.15
1526মঙ্গলবার4.374.446.15
1627বুধবার4.354.426.16
1728বৃহস্পতিবার4.334.4o6.16
1829শুক্রবার 4.324.396.17
1930শনিবার4.314.376.17
2031রবিবার4.3o4.366.17
211 এপ্রিলসোমবার4.294.356.18
222মঙ্গলবার4.284.346.18
233বুধবার4.274.336.18
244বৃহস্পতিবার4.264.326.19
255শুক্রবার 4.254.316.19
266শনিবার4.244.3o6.2o
277রবিবার4.234.296.2o
288সোমবার4.224.286.21
299মঙ্গলবার4.214.276.21
3010বুধবার4.2o4.266.22

সেহরির শেষ সময় ২০২৪ ঢাকা

রমজান মাসের সময়, ঢাকা জেলার আবহাওয়া সাধারণত গরম ও আর্দ্র থাকে। তাই সেহরি ও ইফতারের সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং অসুস্থতার ঝুঁকি কমে। আজকে ঢাকা জেলার সেহেরির শেষ সময় দেখতে আমাদের এই পোস্ট এ লক্ষ করুন। আমরা চেস্টা করেছি এখানে সুন্দর একটি ক্যালেন্ডার উপস্থাপন করার। ঢাকা জেলার আজকের সেহেরির শেষ সময় দেখুন এই পোস্ট এ।

ইফতারের শেষ সময় ২০২৪ ঢাকা

ঢাকা জেলায় সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি অনুসরণ করে রমজান মাসের রোজা পালন করতে পারেন। মুসলিমরা এই সময়সূচি অনুসরণ করে রমজান মাসের রোজা পালন করতে পারবেন। আমাদের আজকের পোস্টে ইফতারের শেষ সময় উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি চাইলে সহজেই এখান থেকে ঢাকা জেলার জন্য ইফতারের সময় দেখে নিতে পারেন। এছাড়া ঢাকার বাইরে হলে আপনি সার্চ বারে গিয়ে আপনার জেলার নাম লিখে সার্চ করুন, তাহলেই পেয়ে যাবেন আশা করি।

সেহরির গুরুত্ব

সেহরি হলো রোজা রাখার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। সেহরিতে খাওয়া খাবার শরীরকে পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ করে এবং রোজা রাখার শক্তি দেয়। সেহরিতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাও জরুরি। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং রোজা রাখা সহজ হয়।

সেহরিতে কী খাওয়া উচিত?

সেহরিতে খাওয়া উচিত এমন কিছু খাবারের উদাহরণ হলো:

  • ফল: আম, কলা, আপেল, কমলা, আঙুর, ইত্যাদি
  • শাকসবজি: সবুজ শাক, টমেটো, শসা, বেগুন, ইত্যাদি
  • ওটস: ওটমিল, ওটস ব্রেকফাস্ট
  • কোমল শস্যজাতীয় খাবার: গম, বাজ
  • বাদাম ও শুকনো ফল: কাজুবাদাম, কিশমিশ, আখরোট, ইত্যাদি
  • আমিষ জাতীয় খাবার: ডিম, দুধ, মাংস, মাছ, ইত্যাদি

সেহরিতে কী খাওয়া উচিত নয়?

সেহরিতে খাওয়া উচিত নয় এমন কিছু খাবারের উদাহরণ হলো:

  • ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার
  • ভারী ও তৈলাক্ত খাবার
  • অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার
  • অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার

ইফতারের গুরুত্ব

ইফতার হলো রোজা ভাঙার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। ইফতারে হালকা ও সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া উচিত। এতে রোজার দীর্ঘ সময়ের ক্ষুধা ও তৃষ্ণা প্রশমিত হয় এবং শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়। ইফতারে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাও জরুরি। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং রোজা ভাঙার পর শরীরের পানিশূন্যতা রোধ হয়।

ইফতারের সময় দোয়া করা সুন্নত। ইফতারের দোয়ায় আল্লাহর কাছে রোজা কবুল হওয়ার জন্য প্রার্থনা করা হয়।

ইফতারের গুরুত্বের কিছু কারণ হলো:

  • শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করা: রোজা রাখার সময় শরীরে কিছু পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। ইফতারে হালকা ও পুষ্টিকর খাবার খেলে এই ঘাটতি পূরণ হয়।
  • শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করা: রোজা রাখার সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়। ইফতারে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে শরীরের পানিশূন্যতা রোধ হয়।
  • রোজার দীর্ঘ সময়ের ক্ষুধা ও তৃষ্ণা প্রশমিত করা: ইফতারে হালকা ও সুস্বাদু খাবার খেলে রোজার দীর্ঘ সময়ের ক্ষুধা ও তৃষ্ণা প্রশমিত হয়।
  • দোয়া কবুল হওয়ার সুযোগ: ইফতারের সময় দোয়া করা সুন্নত। ইফতারের দোয়ায় আল্লাহর কাছে রোজা কবুল হওয়ার জন্য প্রার্থনা করা হয়।

ইফতারের সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত:

  • ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • ভারী ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের খাবার শরীরে অতিরিক্ত ওজন বাড়াতে পারে।
  • অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের খাবার পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের খাবার শরীরে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

রমজান মাসের ইফতারের সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে রোজা পালন করা আরও সহজ ও উপকারী হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top