ব্রেন স্ট্রোকের পরে সঠিক পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। ব্রেন স্ট্রোকের পরে রোগীর খাবার তালিকা স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর হওয়া উচিত। এর মাধ্যমে রোগীর শরীরের পুনরুদ্ধার এবং সুস্থতা নিশ্চিত করা যায়। এখানে কিছু সুপারিশ করা খাবারের তালিকা দেওয়া হল:- Brain stroke patient food list
Table of Contents
১. প্রোটিনের উৎস
- মুরগির মাংস: লো-ফ্যাট প্রোটিনের একটি ভাল উৎস।
- মাছ: বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যালমন বা টুনা।
- ডাল এবং লেগিউমস: মটর, মুগ ডাল ইত্যাদি।
- ডিম: প্রোটিন এবং পুষ্টির ভালো উৎস।
২. শাকসবজি এবং ফলমূল
- সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, ব্রকলি, সবজি সালাদ।
- ফলমূল: আপেল, কলা, বেরি (যেমন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি), পীচ।
৩. শস্যদানা এবং শর্করা
- গো-আঁটা গমের রুটি: ফাইবার সমৃদ্ধ।
- ব্রাউন রাইস বা কুইনোয়া: পূর্ণ শস্য, সহজে হজমযোগ্য।
- ওটমিল: পুষ্টিকর এবং হজমে সহায়ক।
৪. স্বাস্থ্যকর চর্বি
- ওলিভ অয়েল: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- বাদাম: আখরোট, কাঠবাদাম, কিশমিশ ইত্যাদি।
৫. পানীয়
- পরিমাণ মতো পানি: হাইড্রেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- হালকা সবুজ চা: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
৬. খাদ্যসংক্রান্ত সতর্কতা
- স্বাদ কমানো: লবণ ও চিনির পরিমাণ কমিয়ে রাখুন।
- ভাজা খাবার ও প্রক্রিয়াজাত খাবার: এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।
৭. খাবারের পরিমাণ এবং পরিমাণ
- অল্প পরিমাণে কিন্তু বারবার: ছোট ছোট খাবার বারবার খাওয়াটা সুস্থ থাকা এবং হজমে সহায়তা করতে পারে।
কী খাবেন:
- ফল: বিভিন্ন রঙের ফল খান। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- সবজি: বিভিন্ন ধরনের সবজি খান। এতে ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেল প্রচুর পরিমাণে থাকে।
- ধান্য: সম্পূর্ণ শস্যের ধান্য যেমন বাদাম, ওটস, ব্রাউন রাইস খান। এতে ফাইবার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে।
- মাছ: স্যামন, টুনা, ম্যাকেরেলের মতো ফ্যাটি ফিশ খান। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- পিনাট বাটার: এতে ভিটামিন ই এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে।
- বাদাম: বাদাম, বাদাম, আখরোট ইত্যাদি খান। এতে ভিটামিন ই এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে।
- দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য: ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের ভাল উৎস।
কী খাবেন না:
- লবণ: অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বাড়াতে পারে।
- চিনি: অতিরিক্ত চিনি ওজন বাড়াতে পারে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট: এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার: এতে অতিরিক্ত লবণ, চিনি এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক উপাদান থাকতে পারে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- পানি পান করুন: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
- ছোট ছোট করে খান: একবারে বেশি পরিমাণে খাবার না খেয়ে ছোট ছোট করে বারবার খান।
- ডাক্তারের পরামর্শ নিন: আপনার জন্য কোন খাবার উপযুক্ত তা জানতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন:
এটি একটি সাধারণ খাবার তালিকা। আপনার জন্য কোন খাবার উপযুক্ত তা জানতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। স্ট্রোক পরবর্তী খাবার তালিকা প্রস্তুত করার সময় রোগীর নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রাখা জরুরি। একজন পুষ্টিবিদের বা চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা সবসময় ভাল।
আরো দেখুনঃ