একজন কমলা লেবুর ফেরিওয়াল, যিনি মাত্র ১৬ টাকার সম্বল পকেটে নিয়ে ভাগ্য গড়তে বেরিয়েছিলেন।কিভাবে তিনি হাজার হাজার কোটি টাকা এবং ২৯ টি শিল্প কারখানার মালিক হলেন। একদম শূন্য থেকে শুধু চেষ্টা এবং পরিশ্রম আড়াইটা কি কাজে লাগানোর জোরে তিনি বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা উদ্যোক্তায় পরিণত হয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত আকিজ গ্রুপ এর শ্রমিকের সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি।-Akij Group koto Takar Malik
গ্রুপের মোট সম্পত্তি পরিমাণ হাজার কোটি টাকারও বেশি। শেখ আকিজ উদ্দিন এর জন্ম শেখখুলনার ফুলতলা থানার মধ্যেডাঙ্গা গ্রামের মফিজ উদ্দিন ও মতিনা বেগমের ১৯২৯ সালে তিনি ছিলেন বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। তিনি আর্থিক স্বচ্ছতার কারণে লেখাপড়া করতে পারেনি ঠিক মত স্কুলে যেতে পারেনি তার বাবা ছিলেন এবং ছোট ব্যবসায়ী এবং আকিজ গ্রুপের মালিক তার বাবার সাথে কমলালেবুর ব্যবসা আস্তে আস্তেশিখতে থাকে।
১৯৪২ সালে ১৩ বছর বয়সে আকিজ ভাগ্য ফেরাতে বাড়ি ছাড়েন,এখন মানুষ যেমন ভাগ্য ফেরাতে গ্রাম থেকে ঢাকা শহরে আসে ভাগ্যের পরিবর্তন করার জন্য। ঠিক তেমনি আকিজ উদ্দিন ও নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজের দেশ এবং বাড়ি ছাড়া ১৯৪২ সালে মাত্র ১৬ টাকা নিয়ে বাড়ি ছাড়েন কলকাতায় চলে যান। আর কিছু ব্যবসার জন্য কলকাতা গেলেও তার হাতে পুঁজি কম থাকার কারণে তিনি কোন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়তে পারেনা। সবশেষে তিনি মাত্র ১৬ টাকা হাতে নিয়ে কমলালেবুর ব্যবসা শুরু করে কলকাতা শহরে। ব্যবসাটি করার জন্য কলকাতা শহরে ২টাকা চাঁদা দিতে হতো পুলিশকে। এভাবে শুরু হয় তার জীবনের পথ চলা।
কমলালেবুর ব্যবসা করতে করতে তার হাতে বেশ কিছু টাকা জমে যায়। তারপর ভ্রাম্যমান একটি মুদির দোকান দেওয়ার আইডিয়া তিনি বের করলেন তখনকার সময় ভ্রাম্যমান মুদি দোকান বেশ পপুলার পরিচিত ছিল। তারপর তিনি একটি ভ্রাম্যমাণ মুদি দোকান দিলেন। মুদি দোকান চালানোর সময় অবৈধ স্থাপনার জন্য পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং ৫ টাকার জরিমানা ৩দিনের জেলও খাটতে হয় আকিজের। জেল থেকে বেরিয়ে এখানে ওখানে পারি জমান আকিজ বেশ কিছুদিন বসে থাকার পর তিনি ফলের ব্যবসা শুরু করেন। ঠিক তখনই পৃথিবীতে অনেক টাকা রাজনীতি করেন এবার বাড়ি ফিরে যাবেন।
আকিজ বাড়ি আসার পরে তার বাবা মা হারায় এবং বিয়ে করেন একটি। তারপর তুমি নাম লেখা আকিজ বিড়ির ব্যবসা। ১৯৫২ সালে তিনি আকিজ বিড়ির ব্যবসা শুরু করেন তার এক বন্ধুর হাত ধরে। বিড়ি তৈরী এবং বিড়ি বিক্রি করে বেশ লাভ হতে থাকে। ১৯৫৫ সালের দিকে তার মূল ধন গিয়ে দাঁড়ায় ৬০ হাজার টাকার মত। কিন্তু এবারও তার দুর্ভাগ্য নেমে আসে। হঠাৎ একদিন তার কারখানায় আগুন লেগে সব বিড়ি পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। এত কিছুর পরেও আকিজ ভেঙ্গে পড়েনি তার সবকিছু হারিয়ে আকিজ পুনরায় আবার শুরু করেন।
এবার ব্যবসার সাথে সাথে তিনি ধান চাল বুট গম পাট ইত্যাদি ব্যবসা শুরু করেন। এবং ঘুরে দাঁড়াতো তার বেশি সময় লাগেনি। তার কিছু দিনের মধ্যেই তিনি লাখ টাকার মালিক হয়ে যায়। বর্তমানে আকিজ বিড়ির একটি ফ্যাক্টরি মূল্য ১.৫ বিলিয়ন ডলার। ২০০৬ সালে মৃত্যুর আগে প্রায় বৃষ্টি ফ্যাক্টরি তিনি খুলে যান। আকিজ গ্রুপের আকিজ মারা যাবার পরও বেশ কয়েকটি কোম্পানি খুলেছেন। ব্যবসায়ী হিসেবে শেখ আকিজ উদ্দিন ছিলেন একজন সৎ এবং নিষ্ঠাবান।
আরো দেখুনঃ
- সৌরভ গাঙ্গুলী কত টাকার মালিক
- যমুনা গ্রুপ কত টাকার মালিক
- পরীমনি কত টাকার মালিক
- মোস্তাফিজুর রহমান কত টাকার মালিক
- বিরাট কোহলি কত টাকার মালিক
- অনন্ত জলিল কত টাকার মালিক
- আফ্রিদি কত টাকার মালিক
- মিশা সওদাগর কত টাকার মালিক
- অমিতাভ বচ্চন কত টাকার মালিক
- মনোয়ার হোসেন ডিপজল কত টাকার মালিক
- তামিম ইকবাল কত টাকার মালিক