সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো হবে? এর অসুবিধা বা অসুবিধা কি? 

সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো হবে? এর অসুবিধা বা অসুবিধা কি? 

বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারি চাকরির বয়সসীমা হলো চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩০ বছর ও অবসরের ক্ষেত্রে ৫৯ বছর। তবে সম্প্রতি সময়ে চাকরিপ্রত্যাশীরা সরকারি চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এক্ষেত্রে তাদের দাবী চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ ও অবসরের বয়স ৬৫ বছর করা হোক। 

এবার তাদের দাবিতে সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো হবে কি-না, সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর সুবিধা ও অসুবিধাসহ এই সংক্রান্ত সর্বশেষ আপডেটের আলোকে এই আর্টিকেলটি প্রেজেন্ট করা হলো, পড়তে থাকুন। 

বর্তমানে সরকারি চাকরির বয়সসীমা কত? 

বাংলাদেশে বর্তমানে চাকরিতে প্রবেশের দিক থেকে সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩০ বছর। অতীতে এই বয়সসীমা ২৭ বছর ছিল, তবে ১৯৯১ সালে তা বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয়। অন্যদিকে, চাকরিতে অবসরের বয়স ছিল ৫৭ বছর, যা ২০১১ সালে ২ বছর বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়। তবে সম্প্রতি সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩০ থেকে আরো বাড়িয়ে ৩৫ করার ডাক উঠেছে। 

সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়লে সুবিধা সমূহ 

সরকারি চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে অনেক ধরনের আলোচনা হচ্ছে। বয়সসীমা বাড়ানোর সুবিধা মূলত চাকরিপ্রত্যাশী, চাকরিজীবী, এবং সামগ্রিক অর্থনীতি কেন্দ্র করে ঘুরপাক খায়। যাইহোক, যদি তাদের দাবি গ্রহণ করে সরকারি চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয় তবে যে সকল সুবিধা গুলো পাওয়া যাবে তা হচ্ছে: 

চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য বাড়তি সুযোগ: বর্তমান ৩০ বছর বয়সসীমার কারণে অনেকেই চাকরির আবেদন করতে ব্যর্থ হন, বিশেষ করে যারা পড়াশোনার কারণে সেশনজট বা অন্যান্য সমস্যায় পড়েন। বয়সসীমা ৩৫ করা হলে এই ধরনের শিক্ষার্থীরা নতুনভাবে সুযোগ পাবেন চাকরিতে যুক্ত হওয়ার। এটি বিশেষ করে তাদের জন্য ইতিবাচক, যারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পেনশনের চাপ কমানো: চাকরির অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো হলে পেনশনের বোঝা কিছু সময়ের জন্য কমানো সম্ভব। অবসরকালীন সময়ে পেনশন পাওয়ার আগেই কর্মজীবন দীর্ঘায়িত হলে সরকারকে পেনশন খাতে তাৎক্ষণিক চাপ মোকাবিলা করতে হবে না।

কর্মক্ষমতার দীর্ঘায়ন: একজন ব্যক্তি যখন বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানে কাজ করে, তখন তার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা নতুনদের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে। একজন অভিজ্ঞ কর্মী তার অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে ভালোভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম।

সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়লে অসুবিধা সমূহ 

সুবিধার পাশাপাশি সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর বিপক্ষে বেশ কিছু যুক্তিও রয়েছে। এটি মূলত অর্থনীতি, সমাজ ও চাকরির সুযোগ সংক্রান্ত সমস্যা সৃষ্টি করে। যেমন: 

নতুনদের জন্য প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি: বয়সসীমা বাড়ানোর ফলে নতুন চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হবে। কারণ প্রবীণ কর্মীরা দীর্ঘ সময় ধরে চাকরিতে থাকলে নতুন পদ সৃষ্টির হার কমে আসতে পারে। এতে নতুন গ্রাজুয়েটদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে এবং এক অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন চাকরির জন্য প্রস্তুতি নেয়া ব্যক্তির সাথে একদম ফ্রেশার যুদ্ধ করতে মেন্টালি পেশারে থাকবে। 

ব্যয়ের চাপ বৃদ্ধি: সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ালে সরকারের উপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়বে। অবসরকালীন পেনশনের খরচ কিছু সময়ের জন্য কমানো গেলেও শেষ পর্যন্ত তা বৃদ্ধি পাবে। দীর্ঘমেয়াদে পেনশনের খরচ বেশি হওয়া এবং বেতন বৃদ্ধির কারণে সরকারের ব্যয় বাড়বে। চলতি অর্থবছরে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে প্রায় ৮১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে, [] যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।

তরুণ প্রজন্মের জন্য বাধা: বর্তমান সমাজে তরুণদের মধ্যে সরকারি চাকরির প্রতি ঝোঁক বেশি। যদি তারা দীর্ঘ সময় ধরে চাকরির জন্য অপেক্ষা করে থাকে, তা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে। তরুণরা কর্মসংস্থানে জড়িত না হলে কর্মক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা কমবে।

কর্মদক্ষতার হ্রাস: বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরিক ও মানসিক কর্মক্ষমতা কমে আসে। একজন ৩৫ বছরের ব্যক্তি তার তরুণ সহকর্মীদের মতো কর্মক্ষমতা প্রদর্শন করতে নাও পারতে পারেন। এতে কর্মক্ষেত্রে কর্মদক্ষতার সমস্যা তৈরি হবে, যা রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কার্যক্রমে জটিলতা সৃষ্টি করবে।

সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ না করার সিদ্ধান্ত কেন? 

বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে এই বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ বছর করা হোক। তবে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, সরকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা করছে না। এই সিদ্ধান্তের পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে, যা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১. প্রতিযোগিতা এবং হতাশা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা

জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেছেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ালে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে এবং ৩০ বছরের নিচের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হবে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সেসন জট তেমন নেই, ফলে শিক্ষার্থীরা দ্রুত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে পারছেন। সাধারণত শিক্ষার্থীরা ২২-২৩ বছর বয়সে স্নাতকোত্তর শেষ করেন, যার পর তাদের কাছে চাকরিতে আবেদন করার জন্য ছয় থেকে সাত বছর সময় থাকে। সুতরাং, বয়সসীমা ৩০ বছর করাই যথেষ্ট বলে মনে করছে সরকার।

২. পিএসসির তথ্য অনুযায়ী কম বয়সীদের সাফল্য বেশি

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার উদাহরণ টেনে বলেন যে, এই পরীক্ষায় সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল ২৩-২৫ বছরের প্রার্থীরা। অন্যদিকে ২৯ বছরের ঊর্ধ্বে প্রার্থীদের সংখ্যা ছিল অনেক কম। এ থেকেই বোঝা যায় যে কম বয়সী প্রার্থীরা বিসিএস বা সরকারি চাকরিতে অধিক সফল। এই বাস্তবতা মাথায় রেখেই সরকার বয়সসীমা বৃদ্ধি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

৩. শূন্য পদের সংখ্যা কমে যাওয়া

চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছরে বাড়ানোর ফলে শূন্য পদের সংখ্যা কমে গেছে। ফলে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ালে প্রতিযোগিতা আরও বেড়ে যাবে, যা অনেকের জন্য হতাশার কারণ হবে। বিশেষ করে ৩০ বছরের কম বয়সীদের জন্য এটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সরকারের মতে, বয়সসীমা বৃদ্ধি করলে আরও বেশি প্রতিযোগিতা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যেতে পারে।

৪. দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ

সরকারি চাকরিতে যারা প্রবেশ করেন, তারা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে তাদের দক্ষতা বাড়ে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়। ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি প্রযোজ্য। মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত একজন ব্যক্তির পূর্ণ দক্ষতা দিয়ে কাজ করার ক্ষমতা থাকে। সুতরাং, চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর পরিবর্তে দক্ষতার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করছে সরকার।

৫. জিডিপি বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক চাপ

সরকার মনে করে যে, চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করলে অধিক প্রার্থী নিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পারবেন, যার ফলে বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধার জন্য সরকারি ব্যয় বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে মন্ত্রী এও উল্লেখ করেন যে, দক্ষ জনশক্তি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে, বিশেষ করে রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোতে।

৬. শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের সংকীর্ণতা

বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভিন্ন ক্ষেত্রের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক কাজে যুক্ত হচ্ছেন। অর্থাৎ, একজন বিজ্ঞান বা বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীও প্রশাসনিক কাজে যুক্ত হচ্ছেন, যা কর্মসংস্থানের সংকীর্ণতাকে নির্দেশ করে। সুতরাং, বয়সসীমা বাড়ানোর চেয়ে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রগুলো বাড়ানো এবং কর্মমুখী শিক্ষার উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।

অন্যান্য দেশে সরকারি চাকরির বয়সসীমা কত? 

বিভিন্ন দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ভিন্ন ভিন্ন। বাংলাদেশের পাশেপাশের দেশগুলোতে বর্তমানে সরকারি চাকরির বয়সসীমা কত সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দেয়া হলো:

১) ভারতে রাজ্যভেদে এবং চাকরির ধরন অনুযায়ী আবেদনের বয়সসীমা ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে প্রশাসনিক চাকরির ক্ষেত্রে (যেমন আইএএস) সাধারণত সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য এই বয়সসীমা ৪২ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, এবং অনগ্রসর শ্রেণির প্রার্থীদের জন্য বয়সসীমা ৩৫ বছর। ভারতে সরকারি চাকরির বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি দেশটির ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC) প্রকাশ করে।

২)  শ্রীলঙ্কায় পূর্বে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ছিল ৩৫ বছর। তবে ২০২০ সালে এই বয়সসীমা বাড়িয়ে ৪০ বছর করা হয়। ফলে প্রার্থীরা এখন ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন।

৩) নেপালে সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ বয়সসীমা সাধারণত ৩৫ বছর, তবে নারীদের ও প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য এই সীমা ৪০ বছর পর্যন্ত নির্ধারিত। এই নীতির ফলে নেপালে নারী এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ পান।

৪) পাকিস্তানে বাংলাদেশি নিয়মের মতোই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়সসীমা ৩০ বছর। তবে বিশেষ কোটার আওতায় ৩২ বছর বয়সীরাও আবেদন করতে পারেন, যা তাদের কিছুটা বেশি সুবিধা প্রদান করে।

সরকারি চাকরির বয়সসীমা সম্পর্কে সর্বশেষ আপডেট

বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যা চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য একটি বড় সুখবর। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে ৩২ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে ৬২ বছর করার প্রস্তাব নিয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ চলছে। যদিও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি, তবে এই পরিবর্তনগুলো শিগগিরই বাস্তবায়িত হতে পারে।

সরকারি প্রশাসনের সংস্কার কমিশন, যেটি জনসংখ্যার গড় আয়ু, বৈষম্যহীন উন্নয়ন, এবং সরকারি কাজের দীর্ঘমেয়াদি প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে কাজ করছে, এ বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে। ২০২৪ সালের জাতীয় বাজেটের হিসাব অনুযায়ী, চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো হলে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান পরিস্থিতি উন্নত করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ হবে।

সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ভিন্ন ভিন্ন অবসরের বয়সসীমা থাকার কারণে বৈষম্য দূর করার জন্যও এই বয়সসীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব এসেছে। বিশেষত, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অবসরের বয়স ৬৫ এবং উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ৬৭ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ব্যবধান কমানোর জন্যও নতুন নিয়ম প্রণয়নের দাবি উঠেছে। তবে, এ বিষয়ে সরকার শেষ সিদ্ধান্ত কী নেবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top